নতুন পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ জেমি ডে
করোনার কারণে এশিয়ায় আসন্ন ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব এবং ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ ফুটবল স্থগিত ঘোষণা করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ও এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। চলতি বছরের অক্টোবর -নভেম্বরের এসব সূচি স্থগিত হওয়ার পর বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ জেমি ডে বলেছেন, আগামী বছরের জন্য নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে চান তিনি।
বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় জেমি ডে বলেন, ‘খেলাগুলো বাতিল করা হয়েছে। স্বভাবতই এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হতাশ হয়েছি। তবে আমি মনে করি এটি সঠিক সিদ্ধান্ত। খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা সবার আগে। এখন আমাদের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আসন্ন ২০২১ সালে আমাদের কিছু ভাল ম্যাচ থাকবে, ঐ ম্যাচগুলোতে যাতে জয় পেতে পারি এমন লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুত হতে হবে।’
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব স্থগিত হওয়ার পর গাজীপুরের সারাহ রিসোর্টে চলমান জাতীয় দলের ক্যাম্পও স্থগিত করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বুধবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফিফা ও এএফসির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের চলমান আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প বৃহস্পতিবার থেকে স্থগিতের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে কোভিড-১৯ আক্রান্ত খেলোয়াড়দের বাফুফের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের গত ৫, ৬ ও ৮ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করনোা হয়। পরবর্তীতে গত ১০ আগস্ট প্রাভা হেলথ ও আইসিডিডিআরবি- এর মাধ্যমে পুনরায় ৩৬ জনের (৩০ জন খেলোয়াড় ও ৬ জন কর্মকর্তা/স্টাফ)কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হয়। ওই টেস্টে ২৬ জন নেগেটিভ ও ৭ জন পজিটিভ এেেসছে। পজিটিভ হওয়া ফুটবলাররা হলেন এম এস বাবলু, রবিউল হাসান, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, টুটুল হোসেন বাদশা, শহিদুল আলম, আনিসুর রহমান ও বিশ্বনাথ ঘোষ। এছাড়া এবং ৩ জন খেলোয়াড় রিয়াদুল হাসান, রায়হান হাসান ও রাকিব হোসেনকে সতর্ক পর্যবেক্ষনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।