দ্রুতই বিদায় হবে করোনা, নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর গবেষণা
যেসব দেশে যথাযথভাবে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং নিশ্চিত হয়েছে সেসব দেশে দ্রুতই থেমে যাবে করোনার উপদ্রব। এমনটাই বলছে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মাইকেল লেভিটের গবেষণা। জানুয়ারিতে যখন চীনে কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক রূপ ধারণ করে তখন থেকেই তিনি এ ভাইরাসের ধরণ ও প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তখনই তিনি ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন যে, চীন দ্রুতই এ ভাইরাস থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারবে। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। এখন স্টানফোর্ডের এই জৈবপদার্থবিদ সেই একই মডেল কাজে লাগিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও বাকি বিশ্বের জন্য।
বিশ্বের বেশিরভাগ মহামারী বিশেষজ্ঞ বলছেন, করোনা ভাইরাস কয়েক মাস এমনকি বছর ধরে তাণ্ডব চালাতে পারে এবং এতে মারা যেতে পারেন কয়েক মিলিয়ন মানুষ। সেখানে বিজ্ঞানী লেভিট বলছেন, অবস্থা আসলে এত খারাপ হবে না।
বিশেষ করে যেখানে মানুষ ইতিমধ্যে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে পেরেছে সেখানে এটি দ্রুতই থেমে যাবে। তিনি বলেন, আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া বন্ধ করতে হবে। আমরা দ্রুতই স্বাভাবিক পৃথিবী ফিরে পাবো।
জানুয়ারি মাসে যখন চীনে মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়ে চলছিল তখন লেভিট বলেছিলেন, এ সংখ্যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তখনই তিনি দেখান যে, মৃতের সংখ্যা বাড়লেও নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছিল। এ নিয়ে লেভিট তখন একটি প্রতিবেদন লিখেন। তাতে তিনি বলেন, দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই চীনে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে করোনা ভাইরাস। তার ওই প্রতিবেদন চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর শেয়ার হয় তখন। চীনের এক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে ফেব্রুয়ারি মাসে লেভিট বলেছিলেন, দেশটিতে মোট ৮০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হবেন এবং মারা যাবেন ৩২৫০ জন। তার কথাই পুরোপুরি সত্যি হয় শেষ পর্যন্ত।
তিনি পরবর্তীতে আরো ৭৮টি দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে গবেষণা করেছেন। এতেও তিনি চীনের মতই ইতিবাচক ফলাফলের কথা জানিয়েছেন। লেভিট বলেন, করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কিন্তু এই বৃদ্ধি থেমে যাবে। তার দাবির সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে ইরানে। সেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আর বাড়ছে না। অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় একই সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তার হিসেব অনুযায়ী, এই সংখ্যা এখন কমতে শুরু করবে।