দেশে ভোটার প্রায় ১১ কোটি
দেশে বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২ জন। হালনাগাদের পর নতুন ভোটার বেড়েছে ৬৯ লাখ ৭১ হাজার ৪৭০ জন। সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ভোটার দিবসে অনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
২০১৯ সালে মৃত্যুজনিত ও দ্বৈত নাগরিকত্বসহ নানা কারণে রিভাইজিং অথরিটি কর্তৃক মোট ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ১৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৪০টি নাম।
সিইসি জানান, দেশে মোট পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮২ হাজার ৫৩০ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২২ জন। প্রথমবারের মতো ৩৬০ জন হিজড়াকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের আয়োজিত ভোটার দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের নানা বিষয় তুলে ধরেন। পরে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া, সংশোধন ও নানা তথ্য সংবলিত একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, নির্ভুল ভোটার তালিকার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। কেউ যেন অবৈধভাবে ভোটার হতে না পারে। রোহিঙ্গা বা অন্য কোনো দেশের নাগরিক যেন ভোটার না হতে পারে সে জন্য সজাগ থাকতে হবে।
পরে ২০১৯ সালে হালনাগাদের মাধ্যমে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নতুন ভোটারদের হাতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইনমন্ত্রী।
এর আগে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে সকাল আটায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য র্যালির উদ্বোধন করেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা ও নির্বাচন কমিশনাররা। র্যালিতে নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, ইডিইএ ও ইভিএম প্রকল্পের সর্বস্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা অংশ নেন।
২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল সারা দেশের ৫১৯টি উপজেলা ও থানায় একযোগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া ১৮ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিকদের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এই কার্যক্রমে প্রথমবারের মতো প্রত্যেক ভোটারের চোখের আইরিশ ও ১০ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কোনো রোহিঙ্গা যাতে ভোটার না হতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনে রক্ষিত রোহিঙ্গা তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহার করে নিবন্ধিত নাগরিকদের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ভোটার তালিকার খসড়া হালনাগাদ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।