দুর্ঘটনায় ২ শিশুর মৃত্যু, শ্যালো ইঞ্জিনের যানবাহন বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
কুষ্টিয়ায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলির ধাক্কায় দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্কুলশিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, দিনের বেলা স্থানীয়ভাবে তৈরি এ ধরনের অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস মোড়ে অবস্থিত মুকুল সংঘের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাদের অভিভাবকরা মানববন্ধন করেন। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ও বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি কুষ্টিয়া শাখা এই কর্মসূচি আয়োজন করে।
অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা মানা হচ্ছে না অভিযোগ করে নিসচার কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি কে এম জাহিদ বলেন, অবৈধ যানবাহন চলাচলের ফলে সড়কে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিল চলছে। অবৈধ অস্ত্র যেমন নিষিদ্ধ, এসব অবৈধ যানবাহনও নিষিদ্ধ করাও জরুরি।
অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পুলিশের উদ্যোগহীনতার সমালোচনা করে জাহিদ বলেন, কুষ্টিয়া শহরে দিনরাত অবাধে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত বালুর ট্রাক ও ট্রলি চলাচল করছে। এতে বিশেষ করে স্কুল শিক্ষার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে আছে। অন্তত দিনের বেলা এসব যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকা উচিত।
নিসচার সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী বাবু বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নসিমন, করিমন ও ট্রলি অবাধে চলাচল করছে। শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ বালির ট্রাক। এভাবে একটি শহর চলতে পারে না।
এর আগে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্কুল গেটে ট্রলির ধাক্কায় নিহত হয় শহরের প্রতীতি বিদ্যালয়ের প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী ইব্রাহিম। পরদিন সোমবার বাবার খাবার নিয়ে মাঠে যাওয়ার পথে ট্রলির চাপায় আলীম নামে এক পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারা যায়।
কুষ্টিয়ার মিরপুর, সদর ও কুমারখালী সংলগ্ন পদ্মা ও গড়াই নদীতে প্রচুর বালু উত্তোলন করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব বালুভর্তি যানবাহন শহরের প্রাণকেন্দ্র মজমপুর গেট হয়ে বিভিন্ন এলাকায় যায়। এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল বলেন, অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে কঠোর অভিযান শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে তিনটি ডাম্প ট্রাক ও ছয়টি নসিমন-করিমন জব্দ করেছে। এ ছাড়া জেল-জরিমানাও করা হয়েছে। অভিযান আরও জোরদার করা হবে।