দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসে কে-কালচার ভক্তদের মিলনমেলা

কূটনৈতিক প্রতিনিধি

কোরিয়ান সংস্কৃতিতে উন্মাতাল সারা দুনিয়া। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো কে-কালচার বা কোরিয়ান সংস্কৃতি বাংলাদেশেও বেশ দ্রুত নিজের প্রভাব বিস্তার করছে। শুরুতে এই উন্মাদনা কেবল কোরিয়ান মিউজিকেই সীমাবদ্ধ থাকলেও তরুণ সমাজের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প-সাহিত্য-চলচ্চিত্র, বলা চলে সবকিছুই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দেশের তরুণদের একটি বড় অংশ কে-পপের (কোরিয়ান পপ) পাশাপাশি নিয়মিতভাবে কে-ড্রামা (কোরিয়ান ড্রামা) উপভোগ করে থাকেন। শুধু কি তাই! বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সহ অনেক প্রতিষ্ঠানেই গড়ে উঠেছে কে-কালচার ফ্যান গ্রুপ। অনেক বাংলাদেশির কাছে কে-পপ এখন গবেষণারও বিষয়। উদাহরণস্বরূপঃ ‘ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস’ এ কয়েক বছর শিক্ষকতা করা কাশফিয়া আরিফ যুক্তরাজ্যের সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে স্নাতকোত্তর করেছেন। থিসিসের বিষয় হিসেবে তিনি বাছাই করেছিলেন- কে-পপ।

এরকম কিছু ভক্ত নিয়েই ‘ইভিনিং উইথ ইয়াং বাংলাদেশ কে-কালচার লাভারস’ নামে সম্প্রতি একটি মিলনমেলার আয়োজন করেছিল ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস।দূতাবাসের বাসভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন সস্ত্রীক অতিথিদের বরণ করে নেন। এ সময় দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কে-আইডল সাজে সজ্জিত বাংলাদেশের ভক্তদের দেখে তারা ঠিক কোন দেশ থেকে আগত সেটা বুঝাই ছিল মুশকিল।

স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত কে-কালচার ভক্তদের কোরিয়া-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে অন্যতম সেতুবন্ধন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “আজকের ঘরোয়া এই আয়োজনে আমি শুধু তিনজন সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। দৈনিক মানবজমিনের তারিক চয়ন, যিনি কোরিয়া-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে অন্যতম সহযোগী। এছাড়াও রয়েছেন একাত্তর টিভির তুহিনুর সুলতানা এবং দেশ টিভির বাবলী ইয়াসমীন। তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও কে-পপের ভক্ত।”

অনুষ্ঠানে ডিনারের পাশাপাশি বড় পর্দায় একটি কোরিয়ান কমেডি মুভি (এক্সট্রিম জব) প্রদর্শন করা হয়। অতিথিদের মধ্যে নৃত্যশিল্পী পূজা সেনগুপ্ত, কোরিয়ার নাচের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী শেফা তাবাসসুম; বিডি কে ফ্যামিলি’র সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তাসনুভা জাহান ও টিনা জাহান; কোরীয় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা- কোইকা’র শিক্ষানবিশ স্বেচ্ছাসেবকরা ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি (আইইউবি), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি) এর বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.