বিদেশের মাটিতে কাজের দিক থেকে মনোযোগী হওয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সুনাম রয়েছে। কিন্তু দক্ষতার অভাবে বেতন কাঠামোর দিক দিয়ে পিছিয়ে প্রবাসীরা। অদক্ষ কর্মী পাঠানোয় মধ্যপ্রাচ্যে তুলনামূলক কম বেতন পান বাংলাদেশি কর্মীরা। এই সংকট থেকে উত্তরণে চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ কর্মী তৈরির কথা ভাবছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশকয়টি দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে পুনঃনির্ধারণ করে দেওয়া হয় ন্যূনতম বেতন ভাতা ও সুবিধা সম্পর্কিত শর্ত। এরমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সর্বনিম্ন ৮০০ দিরহাম এবং সৌদি আরবের ক্ষেত্রে ৮০০ রিয়াল বেতন নির্ধারণ রয়েছে।
নির্ধারিত এই হারের ভিত্তিতে কর্মীর চাহিদা আছে এমন দেশের চাহিদাপত্র বা ভিসা দূতাবাস দ্বারা সত্যায়নের সময় যাচাই করা হচ্ছে সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো। দীর্ঘদিন ভিসা জটিলতা থাকলেও এ আওতায় আছে আমিরাতও। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য বলছে, তিনবছরে আমিরাতে পা রেখেছেন ২ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কর্মী।
দুবাই ও উত্তর আমিরাতে থাকা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের তথ্য বলছে, গত দুই থেকে তিন বছরে সত্যায়ন করা হয়েছে হিসাবরক্ষক, বিক্রয়কর্মী, টেকনিশিয়ান ও নিরাপত্তা প্রহরীসহ ১৪টি আলাদা পেশার ভিসা। প্রবাসীরা বলছেন, বিদেশের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের বেতনকাঠামো নিয়েও সরকারকে আরো গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ী ও সিআইপি ইউসুফ শরীফ টিপু বলেন, ‘এখান যারা আসছেন তারা অনেক স্মার্ট। তাদের পোশাক, গেটাপ, ভাষা সবকিছুই স্মার্ট।’
এদিকে বেতনের দিক দিয়ে অন্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দক্ষ হয়ে কর্মীদের বিদেশে পাড়ি জমানোর পরামর্শ দূতাবাসের।
আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, ‘দুইটি দিক আমাদের দেখতে হবে। আমাদের প্রতিযোগি দেশ কত নির্ধারণ করে রেখেছে আর তাদের কর্মীর সাথে আমাদের কর্মীর পারস্পরিক স্কিল কোথায় আছে। যদি তাদের মতো আমাদের কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করি তাহলে আমাদের কর্মীদের স্কিল এক হতে হবে। এছাড়া কোনো কোম্পানি নিবে না।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল রপ্তানির লক্ষ্যে বিদেশি কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলছে অন্তর্বর্তী সরকার।
অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মী বিদেশে পাঠানো গেলে রেমিট্যান্স প্রবাহেও আরো বেশি গতি আসবে বলেও মত রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের।