তীরে এসে তরী ডুবল বাংলাদেশের

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পরও হেরে গেল বাংলাদেশ। ইনিংসের একেবারে শেষ দিকে প্রতিটি মুহূর্তই ছিল রোমাঞ্চকর। টানটান উত্তেজনাকর স্নায়ু চাপের ম্যাচে পারল না বাংলাদেশ।

ম্যাচের মোড় ঘুরে বদলালো বারবার।

বাংলাদেশের দিকেই ম্যাচ হেলে থাকল বেশি। শুরুতে বোলারদের দাপট। এরপর ব্যাটিংয়ে শুরুতে বিপদে পড়লেও দলকে টেনে তোলেন তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু শেষ অবধি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে দিল ম্যাচের ভাগ্য।

সোমবার নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে প্রোটিয়ারা। ওই রান তাড়া করতে নেমে তীরে এসে তরী ডুবেছে টাইগারদের, ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।

এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রথম ওভারেই ধাক্কা দেন তানজিম হাসান সাকিব, রানের খাতা খোলার আগেই ওভারের শেষ বলে প্রোটিয়া ওপেনার রিজা হ্যানড্রিকস লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন।
তৃতীয় ওভারে ফের বোলিংয়ে এসে আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কককে বিদায় করেন তানজিম। ভালো খেলার ইঙ্গিত দেওয়া ডি কক ১৮ রানে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন।
তানজিমের পর চতুর্থ ওভারে তাসকিন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে ৪ রানে ফেরান। পরের ওভারে ফের উইকেট নেন তানজিম।

এবার তার শিকার ট্রিস্টান স্টাবস। ৫ বলের মোকাবেলা করা এই ব্যাটার ডাক মারেন তানজিমের বলে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
২৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে মাত্র ২৫ রান তুলতে পারে তারা।

তবে পাওয়ার প্লের পর ছন্দ হারায় বাংলাদেশ বোলিং। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ক্লাসেন ও মিলার উইকেটে থিতু হন। ধীরে ধীরে হাত খুলতেও শুরু করেন দুজনেই। একপর্যায়ে ক্লাসেন ৪৪ বলে ৪৬ রানে তাসকিনের বলে সাজঘরে ফেরেন। আর মিলারকে ২৯ রানে আউট করেন রিশাদ হোসেন। সবশেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তুলতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বাংলাদেশের হয়ে তানজিম হাসান সাকিব নিয়েছেন তিন উইকেট। এ ছাড়া তাসকিন দুটি এবং রিশাদ হোসেন পেয়েছেন এক উইকেট।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.