তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১২৬

চীনের পার্বত্য অঞ্চল তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ১৮৮ জন। চীনের সরকারি ব্রডকাস্টার সিসিটিভি জানিয়েছে, এত শক্তিশালী ভূমিকম্প তিব্বতে সাম্প্রতিক সময়ে হয়নি। মঙ্গলবারের (৭ জানুয়ারি) এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল এভারেস্টের ৮০ কিলোমিটার দূরে টিংরি।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভূমিকম্পে বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। প্রতিবেশী দেশ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে কম্পন অনুভূত হয়েছে।ভারতেও ভূকম্পন অনুভূত হয়।

চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) বলেছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ওই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ছিল নেপাল সীমান্তের কাছে তিব্বতের ডিংরি কাউন্টি।

আহতদের সরিয়ে নিচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

ধ্বংসের খতিয়ান: প্রাথমিক সমীক্ষা অনুসারে ৩,৬০৯টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। সেখানে পাঁচশরও বেশি উদ্ধারকারী ও ১২৬টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় তাবু, খাবার, ইলেকট্রিক জেনারেটর পৌঁছে গেছে। ত্রাণ ও পুনর্বাসনের স্বার্থে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা খুলে দেওয়া হয়েছে বলে সিসিটিভি জানিয়েছে।

ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকা: দক্ষিণপশ্চিম চীন, নেপাল ও উত্তর ভারত ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণ, ইন্ডিয়ান ও টেকটোনিক প্লেটের ধাক্কায় এখানে ভূমিকম্প হয়। অতীতে এই ধাক্কার ফলেই তিব্বত তৈরি হয়েছিল। চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্কস সেন্টার জানিয়েছে, মঙ্গলবারের ভূমিকম্পের পর পাঁচশটিরও বেশি আফটারশক হয়েছে। তার পরিমাপ ছিল চার দশমিক চার বা তার কাছাকাছি।

You might also like

Comments are closed.