ঢাবিতে ১০ স্থানে ভেন্ডিং মেশিনে স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্রতিটি ১০ টাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং ফ্রিডম (এসিআই) এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। ঢাবি ক্যাম্পাসের ১০ জায়গায় স্থাপন করা হবে এসব মেশিন। শীঘ্রই ভেন্ডিং মেশিনের কার্যক্রম অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবে ডাকসু। এ উপলক্ষ্যে গতকাল সকালে ডাকসু ভবনের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ভেন্ডিং মেশিন থেকে যেকোনো সময় নারী শিক্ষার্থীরা ১০ টাকার নোট দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন সংগ্রহ করতে পারবেন। ২০০১ সালের পর থেকে প্রচলিত যেকোনো দশ টাকার নোট দিলেই একটি ন্যাপকিন বেড়িয়ে আসবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৪ টাকা। দাম বৃদ্ধি পেলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ১০ টাকায় এই সেবা পাবেন। মেশিনের পাশেই দুটো ডিসপোজাল বিন এবং দুটো তোয়ালে দেয়া থাকবে। স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রি ও যেকোনো সমস্যা সমাধানে প্রতিটি ভেন্ডিং মেশিনের কাছে একমাস একজন নারী অপারেটর থাকবেন।
ভেন্ডিং মেশিন থাকবে যেসব যায়গায়:
১. রোকেয়া হল।
২. শামসুন নাহার হল।
৩. কবি সুফিয়া কামাল হল।
৪. বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল।
৫. বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি।
৭. কলাভবনের ছাত্রীদের কমনরুম।
৮. বিজনেস অনুষদের কমনরুম।
৯. সায়েন্স লাইব্রেরি।
১০. চারুকলা।
ডাকসু নির্বাচনের আগে সম্মিলিত শিক্ষার্থী পরিষদের প্যানেলের ইশতেহারে মেয়েদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন সুবিধা পেতে ভেন্ডিং মেশিনের ব্যবস্থার কথা ছিল। এই প্যানেলের নির্বাচিত সদস্য তিলোত্তমা শিকদার উদ্যোগটি নিয়েছেন। দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী তিলোত্তমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র নারী সিনেট সদস্যও।
বিষয়টি জেনে ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম তিলোত্তমাকে এসিআই গ্রুপে কথা বলতে পাঠান।
তিলোত্তমা শিকদার বলেন, ইউরোপ ও আমেরিকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই মেশিনের ব্যবহার অনেক বেশি। কিছুটা ব্যয়বহুল হওয়ায় বাংলাদেশে এই সেবার তেমন প্রসার ঘটেনি। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এসিআই এই সেবা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে ছাত্রীরা ২৪ ঘন্টায় সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা পাবে।
তিনি আরও বলেন, সমাজে স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে ট্যাবু আছে। দোকানে কিনতে গেলে এখনো অনেক মেয়ে কাগজে লিখে দেন, প্যাকেটে মুড়ে নেন। কিন্তু মুখে বলতে পারেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি আমরা এই ট্যাবুটা ভাঙা শুরু করি, তাহলে সব জায়গায় তা শুরু করা সহজ হবে।