ঢাকায় কার্যালয় করছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ

ঢাকায় কার্যালয় করতে যাচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ।বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকায় সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার তুর্কের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার বৈঠকের পর এ তথ্য জানান সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ সাংবাদিকদের বলেন, একটি খুব বড় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটি কার্যালয় চালু হবে।অফিসটা চালু হলে যে সুবিধাটা আমাদের সবচেয়ে বেশি, সেটা হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ক্ষেত্রগুলো, ওরা সরাসরি তদন্ত করতে পারবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, সপ্তদশ দেশ হিসেবে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের এমন কার্যালয় হতে যাচ্ছে।

বর্তমানে ১৬টি দেশে মানবাধিকার পরিষদের এ ধরনের কার্যালয় রয়েছে। দেশগুলো হলো- বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চাদ, কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, গিনি, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেক্সিকো, নাইজার, ফিলিস্তিন ও সিরিয়া।

কার্যালয়ের উদ্দেশ্য কী তা-ও ওয়েবসাইটে ব্যাখ্যা করেছে মানবাধিকার কমিশন। সেখানে বলা হয়, কান্ট্রি অফিস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে মানবাধিকার সুরক্ষা ও প্রসারে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে দেনদরবার করে জাতিসংঘ।এ ম্যান্ডেটের মধ্যে সাধারণত মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ, সুরক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার, নাগরিক সমাজ, ভিকটিম ও অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা এবং কারিগরি সহায়তা রয়েছে।

ঢাকায় মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে উঠে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা।

শিগগিরই এই কার্যালয় চালুর উদ্যোগ নেওয়ার কথা তুলে ধরে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, মানবাধিকারের জাতিসংঘ কার্যালয় থাকা মানে এখানে মানবাধিকারের জায়গা থেকে একটা বড় শক্তি আমাদের বাড়ল।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.