ডায়াবেটিসেও যেসব মিষ্টি খাবারে বাধা নেই

মিষ্টি জাতীয় খাবারের কথা শুনলেই আমরা মনে করি তা আমাদের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। তারপর যদি কারো ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে মিষ্টি খাবার খাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। কিন্তু তারপরও মিষ্টি খাবারের প্রতি কমবেশি সবারই লোভ কাজ করে।

ডায়াবেটিস রোগীরা মিষ্টি খাবার খেতে সংকোচ বোধ করেন। তবে কিছু মিষ্টি জাতীয় খাবার রয়েছে, যা ডায়াবেটিস রোগীরাও নিঃসন্দেহে খেতে পারবেন। আর সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ক্ষতিকর নয় বরং বেশ উপকার করবে। ডায়াবেটিস থাকলেও যেসব মিষ্টি খাবার খাওয়া যাবে:

ডার্ক চকলেট

ডার্ক চকলেট আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করেই দূর করতে পারে মিষ্টি খাবারের চাহিদা। এতে থাকা ফ্লেভোনয়েড নামক এক ধরনের যৌগ থাকে, যেটি ইনসুলিন প্রতিরোধে সহায়তা করে টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগ থাকলেও খাওয়া যায়।

আপেল, নাশপাতি ও আঙুর

এই ফলগুলো ডায়াবেটিস রোগে কোন ক্ষতি করে না। তাই আপনার মুখে মিষ্টি স্বাদের চাহিদা পূরণ করতে পারে এই ফলগুলো। আর এসব ফলের মিষ্টি স্বাদ আপনার ডায়াবেটিসে কোন ক্ষতি না করে এগুলোর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান উপকারী হিসেবে কাজ করবে।

টকদই

ডায়াবেটিস থাকলেও টকদই আপনার জন্য হতে পারে উপকারী। ২০০ গ্রাম টক দইয়ে প্রায় ২০ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। আর এ দইয়ের স্বাদ বাড়িয়ে নিতে এর সঙ্গে আপনার পছন্দের কিছু ফলও মিশিয়ে নিতে পারেন।

চিয়া পুডিং

চিয়া পুডিং স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু এবং এটি খুব সহজ কয়েকটি উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। এতে থাকা চিয়া বীজে ফাইবার, প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ অ্যাসিড থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, চিয়া বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এবং ডায়াস্টলিক রক্তচাপ হ্রাসে সহায়তা করে। তাই এটি আপনি খেতে পারেন ডায়াবেটিস থাকলেও।

বাদাম ও বীজের মিশ্রণ

ডায়াবেটিস থাকলেও আপনি খেতে পারবেন বিভিন্ন বাদাম ও বীজের মিশ্রণ। সাধারণত এ মিশ্রণে বিভিন্ন বাদাম, পেকন, কাজু, কুমড়োর বীজ ও সূর্যমুখী বীজ খেতে পারেন। আর এগুলোতে থাকা বিভিন্ন প্রোটিন ও ফাইবার আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবে কাজ করে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.