ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাব পড়ছে দেশের পোশাকশিল্পে

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন উচ্চ শুল্ক নীতির প্রভাবে মার্কিন ক্রেতারা বাংলাদেশি পোশাক ও চামড়াজাত পণ্যের অর্ডার স্থগিত করায় চাপে পড়েছে দেশের গার্মেন্টস শিল্প। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮০% আসে এই খাত থেকে। গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩৭% অতিরিক্ত শুল্ক ঘোষণায় নতুন করে সংকটে পড়েছে শিল্পটি।

এসেনসর ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান জানান, তাঁর এক দীর্ঘদিনের মার্কিন ক্রেতা গত রোববার ৩ লাখ ডলারের চামড়াজাত পণ্যের অর্ডার স্থগিত করেছেন। তিনি বলেন, “ক্রেতা জানিয়েছেন, শুল্ক বৃদ্ধির কারণে খরচ বেড়ে যাওয়ায় অর্ডার সাময়িক বন্ধ রাখতে হচ্ছে। আমরা উভয়েই অনিশ্চয়তায় আছি।” মুশফিকুর প্রতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেন। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৮.৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, যার ৭.৩৪ বিলিয়ন ডলারই এসেছে পোশাক খাত থেকে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন মার্কিন ব্র্যান্ডগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “অনেক ক্রেতা ইতিমধ্যে সরবরাহকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এখনই চাপ প্রয়োগ করলে শিল্পের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। টেকসই সমাধানের জন্য ধৈর্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন।”

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মোহিউদ্দিন রুবেল জানান, ছোট ও মাঝারি মার্কিন ক্রেতারা সরবরাহকারীদের ওপর শুল্কের বোঝা চাপাচ্ছেন। কেউ কেউ দাবি করছেন, সম্পূর্ণ বা আংশিক শুল্ক বহন করতে হবে সরবরাহকারীকেই। এ অবস্থায় উৎপাদনকারীদের মুনাফা কমে যাওয়া ও কর্মসংস্থান সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

You might also like

Comments are closed.