বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী করতো গাড়ি ছিনতাই!
টেস্ট ড্রাইভের কথা বলে ছিনতাই করা টয়োটার হ্যারিয়ার মডেলের গাড়ি উদ্ধারের পাশাপাশি বিদেশি পিস্তলসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ভোরে গুলশানের ‘আমারি ঢাকা’ নামের একটি হোটেলের সামনে অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তি বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী তার নাম আহসান আহমেদ ওরফে মাসুম (৩৬)। তার কাছ থেকে ওই গাড়ি, একটি ম্যাগজিনসহ পাঁচটি গুলিভর্তি বিদেশি পিস্তল ও তিনটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। গাড়িটির আনুমানিক মূল্য ৮৫ লাখ টাকা।
গাড়ি উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তারের ঘটনা নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে আজ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার আহসান আহমেদ ওরফে মাসুম বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তিনি প্রযুক্তি ব্যবহারে অত্যন্ত দক্ষ। তিনি একজন পেশাদার অপরাধী। এর আগে ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তিনি গাড়ি ছিনতাইয়ের পর গাড়ির মালিককে গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ দাবি করতেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় গাড়ি ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, পরীবাগ গার্ডেন টাওয়ারে অবস্থিত হইল ডিলস্ (বারভিডা-১৭৯১) নামের একটি গাড়ির শোরুমের স্বত্বাধিকারী মাশরুর নাঈর (২৯) জাপানি গাড়ির একজন আমদানিকারক ও বিতরণকারী। ৭ মার্চ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি মাশরুর নাঈরকে ফোন করে টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ি কেনার কথা বলেন। মাশরুর নাঈর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে তার বাসার গ্যারেজে গাড়ি দেখার জন্য আসতে বলেন। পরদিন (৮ মার্চ) রাত সাড়ে সাতটার পর ওই ব্যক্তি বাসার গ্যারেজে আসেন। গ্যারেজের বাইরে আরও দুজন অবস্থান করেন। পরে একটি টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ি টেস্ট ড্রাইভ দেওয়ার জন্য মাশরুর নাঈরের চাচাতো ভাই পিয়াল মাহমুদকে নিয়ে অজ্ঞাতনামা তিনজন ব্যক্তি গাড়িতে ওঠেন। গাড়িটি চালিয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা রাত সোয়া আটটার দিকে শাহবাগের মেট্রোস্টেশনে আসেন। তখন গাড়িটি থামিয়ে তাঁদের একজন পিয়াল মাহমুদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। পরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যান।
পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনায় গাড়ির মালিক মাশরুর নাঈরের অভিযোগের ভিত্তিতে শাহবাগ থানায় ৯ মার্চ মামলা হয়। মামলার তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করা হয়।