টুঙ্গিপাড়ায় লিফলেট বিতরণে বাধা : আ.লীগ-পুলিশ সংঘর্ষ, ভাঙচুর
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণের সময় এক কর্মীকে আটকের জের ধরে পুলিশের সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর টুঙ্গিপাড়া উপজেলার খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ আটজন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলাকালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে ঘেরাও করে রাখেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নেতা-কর্মীদের শান্ত করে ওই পুলিশ সদস্যকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যার পর টুঙ্গিপাড়া গ্রামের সাফায়েত নামের আওয়ামী লীগের এক কর্মী লিফলেট বিতরণ করছিলেন। খবর পেয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ এসে সাফায়েতকে আটক করে। তখন অন্য কর্মীরা এসে সাফায়েতকে ছিনিয়ে নেন এবং পুলিশের উদ্দেশে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয় এবং পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ আটজন আহত হন।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণ করছিলেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাফায়েত নামের এক কর্মীকে আটক করে।
ওসি বলেন, এ সময় অন্য নেতা-কর্মীরা সাফায়েতকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশকে ঘেরাও করে রাখেন। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত আটজন আহত হয়। এ সময় উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া ইউএনও মো. মঈনুল হক বলেন, ‘ঘটনার খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় এক পুলিশ সদস্যকে স্থানীয় জনতা আটকে রেখেছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে ওসির কাছে বুঝিয়ে দিয়ে আসি।’