টিপটিপ বৃষ্টিতে রোমান্টিক হতে চায় মন

বৃষ্টি মানে এক অন্যরকম আবহ। বাসা বা অফিসের জানালার কাচে বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ, বাতাসে ভেজা মাটির গন্ধ, চারপাশে একটা ধোঁয়াটে আবহাওয়া, সবকিছু মিলে মনটা নরম হয়ে আসে। মানুষ এই আবহে খুঁজে নেয় তার কাছের মানুষকে, প্রিয়জনের হাত ধরতে চায়। অথবা পুরনো কোনো স্মৃতি মনে পড়ে যায়।

সাধারণত এ সময় মানুষের মন কোমল হয়ে উঠে। তাই বৃষ্টির দিনে প্রেম আর রোমান্স যেন স্বাভাবিকভাবে মানুষের জীবনে ঢুকে পড়ে।

প্রকৃতির প্রভাব

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, বৃষ্টির দিনে আবহাওয়া ঠাণ্ডা হয়, আলো-আঁধারির পরিবেশ তৈরি হয় এবং প্রকৃতিতে এক ধরনের শান্তি নেমে আসে। এই শান্ত পরিবেশ মানুষের আবেগকে জাগিয়ে তোলে। মনে হয়, পৃথিবী যেন একটু থেমে গেছে, এমন মুহূর্তে ভালোবাসা প্রকাশ করার সেরা সময় হয়ে ওঠে।

সিনেমা ও সাহিত্যেও বৃষ্টি মানেই রোমান্স

সিনেমা জগৎ বলিউড বা ঢালিউড যেখানেই চোখ রাখুন না কেন, বৃষ্টিকে বারবার রোমান্টিকতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। শাহরুখ খানের কুচ কুচ হোতা হ্যায় থেকে শুরু করে যাব তক হ্যায় জান— প্রায় প্রতিটি সিনেমায় প্রেমকে দিয়েছে গভীরতা বৃষ্টির দৃশ্য।

বাংলা সাহিত্যেও দেখা যায়, বৃষ্টি নিয়ে অসংখ্য প্রেমের কবিতা ও গান। রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে আধুনিক গায়ক-গীতিকার বৃষ্টি মানেই রোমান্সের সুর।

বাস্তব জীবনে বৃষ্টি আর ভালোবাসা

বাস্তবেও দেখা যায়, অনেক প্রেমিক যুগল বৃষ্টির দিনে হাঁটতে ভালোবাসেন। ছাতার নিচে পাশাপাশি হাঁটা কিংবা বৃষ্টিভেজা চায়ের দোকানে বসে একসঙ্গে চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা অনেকের কাছে বিশেষ। এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই সম্পর্ককে করে তোলে মধুর ও স্মরণীয়।

বৃষ্টি শুধু প্রকৃতিকে ভিজিয়ে দেয় না, ভিজিয়ে দেয় মানুষের মনকেও। আর ভেজা মনেই জন্ম নেয় রোমান্সের অনুভূতি। তাই তো বৃষ্টিভেজা দিনে প্রেম আরও বেশি করে ডানা মেলে, আর মানুষ হয়ে ওঠে আবেগপ্রবণ ও ভালোবাসায় ভরা।

You might also like

Comments are closed.