টিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ঢাকার চিঠি
দেশের নাগরিকদের টিকার চাহিদা নিশ্চিত করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।এর ধারাবাহিকতায় জরুরিভিত্তিতে টিকা পেতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় উৎস হিসেবে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার।এবার চতুর্থ উৎস হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে টিকা পেতে চিঠি দিয়েছে ঢাকা।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এনে দেশে টিকাদান শুরু করলেও এখন সেই উৎস থেকে টিকা আসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় আঘাতের কারণে।তাই বিকল্প উৎস হিসেবে বাংলাদেশ হাত বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে।
ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা পেতে ওয়াশিংটনকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা। সেই চিঠিতে হয় অনুদান হিসেবে, আর না হলে কিনার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ভ্যাকসিন পেতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা চাই, আমাদের সব নাগরিক যেন ভ্যাকসিন পায়। আমরা জেনেছি, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬০ মিলিয়ন (৬ কোটি) ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। আমরা চিঠির মাধ্যমে তাদের কাছে ভ্যাকসিন চেয়েছি। আমরা বলেছি, তোমরা অনুদান হিসেবে আমাদের দাও, যদি তা না হয় তোমরা চাইলে আমরা কিনে নিতেও রাজি আছি। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এখনো আমাদের চিঠির জবাব দেয়নি। আমরা চেষ্টা করছি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার।
এদিকে মে-জুলাই মাসের মধ্যে রাশিয়া থেকে ৪০ লাখ ডোজ টিকা দেশে চলে আসার আশা প্রকাশ করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
অন্যদিকে উপহার হিসেবে চীনের ৫ লাখ ডোজ টিকা ১০ মে’র মধ্যে দেশে পৌঁছাতে পারে বলে গতকাল (৩ মে) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনের এই টিকা আনার ব্যবস্থা করছে।