কাণ্ডারি তামিম ইকবালের যেমন শুরু। তেমনি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাকিবের শুরুটাও নতুন করে। নতুন শুরু টাইগারদের করোনা পরবর্তী ক্রিকেটের। আবার ‘মিশন-২০২৩’ এর পথ রচনাও। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনেক নতুনের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটায় ৬ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ লক্ষ্য ধরে শুরু করা এই ম্যাচে অবশ্য জয় এনে দিয়েছেন পুরনোরাই। দেড় বছরের বেশি সময় পরে মাঠে নেমে নিষেধাজ্ঞা মুক্ত সাকিব আল হাসান বল হাতে করেছেন দুর্দান্ত। ব্যাটে আবার রান পেয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পেস আক্রমণে অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ মন জয় করেছেন। আবার বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান পূরণ করেছেন প্রত্যাশা। তবে স্বল্প রান তাড়ায় ব্যাটিংটা হয়নি চাওয়া মতো।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩২.২ ওভারেই অলআউট হয়ে যায়। বাংলাদেশের সামনে দিতে পারে ১২৩ রানের লক্ষ্য। ওই লক্ষ্য ৩৩.৫ ওভারে ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ১৯ ও মাহমুদুল্লাহ ৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। এর আগে ওপেনার তামিম ৬৯ বলে ৭ চারে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ১৯ রান।
ক্যারিবীয়দের থেকে অল্প রানের লক্ষ্য পেলেও মিরপুরের উইকেটে রান তোলা সহজ ছিল না। তামিম-সাকিবরা সেটা ভালো মতোই টের পেয়েছেন। স্পিন সহায়ক ওই উইকেটে আরও বেশি কাবু হয়েছে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের নিয়মিত ক্রিকেটাররা না আসায় অনভিজ্ঞ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা শুরু করেন মুস্তাফিজুর রহমান। শেষ করেন সাকিব আল হাসান-হাসান মাহমুদ।
শুরুতে দুই ক্যারিবীয় ওপেনারকে তুলে নেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর বাঁ-হাতের ঘূর্ণি দেখান সাকিব। করেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেরা বোলিং। একে একে ফেরার ম্যাককার্টি, জেসন মোহাম্মদ এবং বোনারদের। তার ঘূর্ণি বুঝে উঠতে না পেরে কেউ বোল্ড হয়েছেন। কেউ স্টাম্পিং। মাত্র ৭.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৮ রান খরচায় দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব তাই তুলে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া অভিষিক্ত পেসার হাসান মাহমুদ দখল করেন তিনটি উইকেট। বাংলাদেশ আগামী শুক্রবার একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলবে।