জেরুজালেমে আল-জাজিরার অফিসে তল্লাশি
ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমের একটি হোটেল কক্ষে রোববার তল্লাশি চালিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরা কক্ষটিকে নিজেদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল।
ইসরায়েলে আল-জাজিরার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর টেলিভিশন চ্যানেলটির জেরুজালেম অফিসে এ অভিযান পরিচালনা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলে সম্প্রচার কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের সিদ্ধান্তের পর রোববার জেরুজালেমে একটি হোটেলে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এর আগে গতকাল ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় গাজা যুদ্ধ চলাকালীন আল-জাজিরার স্থানীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আল-জাজিরাকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি দাবি করছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় ঐকমত্যের ভিত্তিতে আল-জাজিরার কার্যক্রম বন্ধের প্রস্তাব পাস হওয়ার পর নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, উসকানিদাতা চ্যানেল আল-জাজিরা ইসরায়েলে বন্ধ হবে।
এদিকে আল-জাজিরার কার্যালয়ে তল্লাশির ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষে সাদা পোশাকের ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ক্যামেরাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ভেঙে ফেলছেন ও জব্দ করে নিয়ে যাচ্ছেন।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, পূর্ব জেরুজালেমে তাদের কার্যালয়ে এ তল্লাশির ঘটনা ঘটেছে।
ইসরায়েলের এ কর্মকাণ্ডকে ‘অপরাধমূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে আল-জাজিরা। টেলিভিশন চ্যানেলটি ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি, এমন অভিযোগকে ‘বিপজ্জনক’ ও ‘হাস্যকর মিথ্যাচার’ বলা হয়েছে।
আল-জাজিরা বলছে, এমন অভিযোগ তাদের সাংবাদিকদের ঝুঁকিতে ফেলেছে। এ পরিস্থিতিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে।
গত অক্টোবরে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তখন থেকে এই অভিযানের সমালোচনায় সক্রিয় আল-জাজিরা। গাজা যুদ্ধের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করছে তারা। এতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রোষানলে পড়ে সংবাদমাধ্যমটি।