জিম্মিদের মুক্তি না দিলে নরক ভেঙে পড়বে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, হামাস যদি গাজায় আটক জিম্মিদের ২০ জানুয়ারির আগে মুক্তি না দেয় তবে গোষ্ঠীটিসহ মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নরক ভেঙে পড়বে। আগামী ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ফ্লোরিডায় নিজ বাসভবন মার-এ-লাগোতে দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি (জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া) হামাসের জন্য ভালো হবে না এবং সত্যি বলতে, কারও জন্যই ভালো হবে না। নরক যন্ত্রণা নেমে আসবে। এর বেশি কিছু বলার দরকার নেই। কিন্তু সেটাই হবে।’
এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, ‘২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে হামলা কখনোই সংঘটিত হওয়া উচিত ছিল না।’ মার-এ-লাগোতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
মধ্যপ্রাচ্যের জন্য নিয়োগ করা ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনার অগ্রগতির বিষয়ে আশাবাদী সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আলোচকেরা অনেক অগ্রগতি অর্জন করছেন।’
উইটকফ আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) সুনাম এবং তার বক্তব্য এই আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং তাই আমরা আশা করি, সবকিছু ঠিকঠাক হবে এবং আমরা কিছু মানুষের প্রাণ রক্ষা করতে পারব।’
এর আগে সিএনএন জানিয়েছিল, বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তবে তারা ট্রাম্প প্রশাসনের মনোনীত সদস্যদের এই বিষয়ে নিয়মিত আপডেট দিচ্ছেন। তবে ট্রাম্প এবং উইটকফের মন্তব্যের পরে বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, আলোচনা ‘কঠিন’ সময় অতিক্রম করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, উইটকফ ২০ জানুয়ারির আগে একটি চুক্তি হওয়া সম্ভব বলে ইঙ্গিত করলেও আলোচনা কঠিন অবস্থায় আছে। বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্প প্রশাসনের আসন্ন জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের’ মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের ঘনিষ্ঠ এক জ্যেষ্ঠ ডেমোক্র্যাটও এই সপ্তাহে সিএনএনকে জানান, জো বাইডেনের শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন না যে, প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব ছাড়ার আগে একটি চুক্তি সম্ভব। তারা সবাই সংশয়ী।
বাইডেন প্রশাসন প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। অক্টোবর ৭ হামলার কয়েক সপ্তাহ পরে প্রথম যুদ্ধবিরতিতে কয়েক ডজন জিম্মি মুক্তি পেয়েছিল, কিন্তু লড়াই বন্ধ করতে এবং আরও জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে পরবর্তী প্রচেষ্টা কোনো ফল পাওয়া যায়নি।