জাতীয় শোক দিবস: বেরাইদ গণপাঠাগারে ধারাবাহিক পাঠ কার্যক্রম
জাতীয় শোক দিবস (১৫ আগস্ট) সামনে রেখে ধারাবাহিক পাঠ কার্যক্রম (পাঠচক্র) শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটির বেরাইদ গণপাঠাগার।
শুক্রবার বিকাল চারটায় পাঠাগার কার্যালয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন গণপাঠাগার সভাপতি এমদাদ হোসেন ভূঁইয়া। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র গৃহীত এই কর্মসূচির ক্টেকহোল্ডার হচ্ছে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের ২০টি বেসরকারি গ্রন্থাগার।
পাঠ কার্যক্রমের জন্য ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড : প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার দুঃসহ দিন’ বইটি বাছই করা হয়েছে। বইটি লিখেছেন জার্মানি প্রবাসী লেখক সরাফ আহমেদ। এ বই ঘিরে শুরু হয়েছে ‘বই পড়া’ প্রতিযোগিতা।
প্রতিযোগিতায় অস্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাছাইকরা শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে। প্রথম রাউন্ডে কুড়িটি গ্রন্থাগার থেকে থেকে ১৫ জন করে ৩শ’ পাঠক অংশ নিচ্ছে। প্রত্যেক গ্রন্থাগার তাদের ১৫ থেকে ফের ‘সেরা তিন’ বাছাই করে কেন্দ্রে পাঠাবে। এভাবে ২০ গ্রন্থাগারের ৬০ পাঠক ফাইনাল রাউন্ডে অংশ নেবে। ৬০ জনের মধ্য থেকে আবার ‘সেরা বিশ’ (টপ টুয়েন্টি) নির্ধারণ করা হবে। মেধার ভিত্তিতে পুরস্কার দেওয়া হবে।
বেরাইদ গণপাঠাগার শুক্রবার লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে ‘সেরা তিন’ বাছাই করেছে। তারা হল রওশনআরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী শরমিলা আক্তার ফিমা (প্রথম), একেএম রহমত উল্লাহ কলেজের ছাত্রী জান্নাতুল ইসলাম রিয়া (দ্বিতীয়) ও বেরাইদ মুসলিম হাইস্কুলের ছাত্র সিয়াম আবদুল্লাহ (তৃতীয় স্থান)।
বিচারকমন্ডলিতে ছিলেন জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারি, মাহবুবুর রহমান, মো: মানিক মিয়া, মিরাজুননেছা, জিয়াউন নাহার ও আলমগীর হোসেন প্রমুখ।