ছুটির পর চিরচেনা রূপে ফিরেছে ঢাকা

ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি ছিল ৯ দিন। এর সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার যুক্ত হয়ে মোট ১১ দিন ছুটি কাটিয়েছে দেশবাসী। দীর্ঘ এই ছুটির শেষে আজ (রবিবার) প্রথম কর্মদিবসে কর্মব্যস্ত রূপে ফিরেছে রাজধানী ঢাকা। ঈদের আমেজ কাটিয়ে সকাল থেকেই কর্মস্থলে যোগ দিতে বের হয় রাজধানীবাসী। সকাল থেকেই ব্যস্ততার দেখা মেলে রাজধানীর সড়কে।

রবিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর গুলিস্তান, পুরানা পল্টন, প্রেসক্লাব এলাকা ঘুরে দেখা যায় প্রথম কর্মদিবসে কর্মব্যস্ত রাজধানী।

ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে বেশিরভাগ রাজধানীবাসী ছুটেছিলেন গ্রামের পথে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে। এতে করে ফাঁকা হয়ে পড়েছিল রাজধানী। দীর্ঘ এই ছুটির শেষে আজকে থেকে নিজেদের কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন তারা। আর তাদের এই উপস্থিতি চিরচেনা রূপে ফিরে এসেছে রাজধানী।

সকাল থেকেই নিজেদের কর্মস্থলে যোগ দিতে বের হন কর্মজীবী মানুষেরা। এতে করে পাল্টে যায় ফাঁকা ঢাকার চিত্র। সড়কে ফিরে আসে যানজট, গাড়ির ব্যস্ততা, ট্রাফিক সিগনাল, গণপরিবহনে যাত্রীদের ভিড়। নগরী এই পুরানো চিত্র ফিরে আসাতে কেউ কেউ দুঃখ প্রকাশ করলেও স্বস্তির কথা জানিয়েছেন গণপরিবহনের কর্মীরা।

গুলিস্তানে নিজের কর্মস্থলে যোগ দিতে আসেন জিয়াউল হক। তিনি বলেন, আমার ঈদ ঢাকাতেই করা হয়েছে। বন্ধের এই কয়দিন খুব শান্তিতে চলাফেরা করতে পেরেছি। এখন আবার যানজট শুরু হয়েছে। যদিও সেরকমভাবে আজকে জ্যামে পড়িনি তবে বিকালে কী হবে জানি না।

আরেক কর্মজীবী আহাদ হাসান বলেন, আমি মোহাম্মদপুর থেকে পল্টনে এসেছি অফিসে। মোটামুটি জ্যামে পড়েছি। বাসেও ভিড় ছিল। তবে এই কয়দিনের যে শান্তি ছিল সেটা আর নেই। আসলে কিছু করারও নেই; এটাই ঢাকা।

এদিকে ছুটি শেষে অফিস-আদালত খুলে যাওয়াতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন গণপরিবহনের কর্মীরা। মিডলাইন বাসের চালকের সহকারী (হেলপার) মো. ইউনুস বলেন, ঈদের ছুটিতে আমরা যাত্রীই পাইনি। যাত্রী না পেলে আমাদের লস। রাস্তা ফাঁকা থাকে ঠিকই কিন্তু যাত্রী ডেকে আনতে হয়েছে। এখন পাচ্ছি। যাত্রী না থাকলে গাড়ি চালিয়ে মজা নেই।

দিশারি বাসের চালক আকবর হোসেন বলেন, আমার গাড়ি চিড়িয়াখানা লাইনের। তাই ঈদের ছুটিতে চিড়িয়াখানার যাত্রী পেয়েছি। আমার খুব একটা সমস্যা হয়নি।

বিহঙ্গ বাসের চালক নজরুল ইসলাম বলেন, ছুটির মধ্যে যাত্রী খরায় ছিলাম। আজকে থেকে অফিস খুলেছে সবার; আমাদের যাত্রী পাওয়া শুরু হয়েছে। অবশ্য ছুটির সময় গাড়িও কম ছিল, সব গাড়ি রাস্তায় নামেনি। এখন সব গাড়ি আছে রাস্তায়।

পুরানা পল্টন এলাকায় ট্রাফিকের দ্বায়িত্বে থাকা বিজয় সরকার বলেন, সকাল ১০টা থেকে এই এলাকায় গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। যানজটের সৃষ্টি হয়েছে কিছুটা। আমাদের নিয়ম অনুযায়ী সিগনাল দিয়ে আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করেছি। তবে এখনও পুরোপুরি ব্যস্ততার চিত্র দেখিনি। এই এলাকা আরও জনবহুল থাকে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.