ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারে ‘অস্বীকৃতি’, পটিয়া থানা ঘেরাও

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতাকে অস্বীকৃতির অভিযোগ তুলে থানার ওসিকে বদলির দাবিতে চট্টগ্রামের পটিয়া থানা ঘেরাও করে রেখেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। থানা ঘেরাও করে তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন। এতে ওই মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল থেকে থানার গেইটে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা।
ফটকের ভেতরে অবস্থান করছে পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি দীপঙ্কর দেকে ধরে থানায় সোপর্দ করে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তবে ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে আপত্তি জানান ওসি।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর গতকাল রাতে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের ওই নেতার নামে কোনো মামলা নেই।
তার দাবি, ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় নিয়ে এসে মব সৃষ্টি করে তাকে মারধর করা হচ্ছিল। একদল নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে থানায় মব নিয়ে ঢুকে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, তারা থানার সামনে অবস্থান নিয়ে কিছু দাবির কথা জানিয়েছে। আমরা সেটি বিবেচনা করছি। আশা করি দ্রুত শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে।

বৈষম্যরিরোধী ছাত্র আন্দোলকারীরা জানিয়েছেন, ওসির বদলি ও শাস্তি ছাড়া তারা মহাসড়ক ছাড়বেন না। পটিয়া থানার সামনে অবস্থান নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ বলেন, আমরা পটিয়া থানার সামনে অবস্থান নিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নূরকে অপসারণ না করা হবে ততক্ষণ আমাদের অবস্থান থাকবে।

এদিকে গতকাল রাতে দুই দফায় পুলিশের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। দুই দফায় বৈষম্যবিরোধীর প্রায় ২০ জন কর্মী আহত হন।

You might also like

Comments are closed.