রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে মিথুনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অনুসারীরা তাকে ছিনিয়ে নিতে নিউমার্কেট থানায় হামলা করেছে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন—বশির ইসলাম, মোহাম্মদ হাসান, মোহাম্মদ ইমন, মাসুম মাহমুদ, মোহাম্মদ আলামিন ও আকবর আলী।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এসএন নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার ভোরে পুলিশ পূর্বাচলের ৩০০ ফুট এলাকা থেকে মিথুনকে গ্রেপ্তার করে। তাকে নিয়ে নিউমার্কেট থানায় ঢোকার সময় অনুসারীরা পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায় এবং মিথুনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার তারিক লতিফসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
গত ১০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ওয়াহেদুল হাসান দিপু ও ইসিএস কম্পিউটার সিটির (মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হকের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
ওয়াহেদুল নিউমার্কেট থানায় সন্ত্রাসী সানজিদুল হক ইমন এবং নাম-পরিচয় না জানা ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।ওয়াহেদুলের ছোট ভাই আরেক সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল।
মামলায় এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে আসামিরা মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করতে থাকেন এবং হুমকি দেন। এহতেশামুল ও ওয়াহেদুল অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে চাঁদাবাজি ও হয়রানির প্রতিবাদ করায় আসামিরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের দুজনকে কুপিয়ে জখম করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই কম্পিউটার ব্যবসায়ীর ওপর হামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মিথুনকে গ্রেপ্তার করেছে।’
এই ঘটনার পরে মিথুন ও সহসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুলকে হাসান রাসেলকে ছাত্রদল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অনাকাঙ্ক্ষিত অভিযোগের ভিত্তিতে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। অধিকতর তদন্ত করে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।