ছাত্রকে বলাৎকারে মাদরাসা শিক্ষকের যাবজ্জীবন
নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদরাসার এক ছাত্রকে বলাৎকারে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুর রহিম কালুকে (২৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ ঘোষণা করেন।
নাটোর জজ আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুর রহিম কালু (২৭) নাটোর সদর উপজেলার কাঠালবাড়িয়া এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে। তিনি বড়াইগ্রাম উপজেলার তালশো আল জামিয়া হুসাইনিয়া মদিনাতুল হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৮ মে সন্ধ্যার পর আসামি আব্দুর রহিম ছাত্রকে মাদরাসার কাজ আছে বলে তার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে মাদরাসায় নিয়ে যায়। মাদরাসায় নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। এরপর ওই ছাত্রকে তার বাড়িতে আসামি নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এসময় ওই ছাত্র বাড়িতে গিয়ে কান্না শুরু করলে তার বাবা জিজ্ঞাসা করলে সে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে ছাত্রকে চিকিৎসার জন্য তার বাবা নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ২১ মে শিশুটির বাবা মাদরাসা শিক্ষক আব্দুর রহিম কালুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ কয়েক বছরে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক আজ বুধবার অভিযুক্ত আসামি আব্দুর রহিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের বলেন, দীর্ঘ ৪ বছর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি চলে। আজ আদালত আসামি আব্দুর রহিম কালুর উপস্থিতিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নিদের্শ দেন আদালত।