চেলসির পেদ্রোকে ধাক্কা দেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন পিএসজি কোচ

ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল চেলসির সামনে হালে পানি পায়নি ফরাসি ক্লাব পিএসজি। ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নদের নাকানি-চুবানি খাইয়ে ৩-০ গোলের জয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে ইংলিশ ক্লাবটি। এমন ফলাফলের পর মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি পিএসজির স্প্যানিশ কচ লুইস এনরিকে। শারীরিকভাবে আঘাত করেছেন ম্যাচে চেলসির হয়ে তৃতীয় গোল করা ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রোকে।

তবে সেই ঘটনা নিয়ে লুইস এনরিক দাবি করেছেন, খেলোয়াড়দের থামাতেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন, যেন পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়। যদিও ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মুখে আঘাত করে চেলসির ফরোয়ার্ড পেদ্রোকে রীতিমত মাটিতে ফেলে দিয়েছেন তিনি।

ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচের ৮৬ মিনিটে। চেলসি ডিফেন্ডার মার্ক কুকুরেয়ার চুল টানার কারণে লাল কার্ড দেখানো হয় পিএসজির জোয়াও নেভেসকে। তাৎক্ষণিকভাবে সে ঘটনা উত্তেজনা না ছড়ালেও শেষ বাঁশির পরই সেই লাল কার্ড এবং ফাইনালের অপ্রত্যাশিত হার নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পিএসজি। আর তাতেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই দল।

চেলসির পেদ্রো এবং পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা ও ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সে সময় পিএসজি কোচ এনরিককে পেদ্রোর মুখে ধাক্কা দিতে দেখা যায়। তবে বার্সেলোনার সাবেক এই কোচ জানান, পরিস্থিতি শান্ত করতেই তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন।

ম্যাচের পর এনরিক বলেন, ‘চাপে পড়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করায় আমার কোনো সমস্যা নেই। এটা খুব চাপের মুহূর্ত ছিল আমাদের সবার জন্য। এটা এড়ানো প্রায় অসম্ভব। আমি চেলসি কোচকেও (এনজো মারেস্কা) দেখেছি, তাকেও ধাক্কা দিতে হয়েছে খেলোয়াড়দের আলাদা করতে। আমার উদ্দেশ্য ছিল শুধু ফুটবলারদের আলাদা করা, যাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়।’

এদিকে চেলসির ফরোয়ার্ড পেদ্রো অবশ্য বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি উচ্চবাচ্য করেননি। বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে দেখার বার্তা দিয়ে এই ব্রাজিলিয়ান বলেছেন, ‘আমি ওদের সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না, কারণ এটা স্বাভাবিক। সবাই খেলাটা জিততে চায়, আর শেষ পর্যন্ত ওরা মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিল। তবে এটা ফুটবল, এমন হয়। এখন আমরা উদযাপন করব, কারণ আমরা টুর্নামেন্ট জিতেছি। এর বেশি বলার দরকার নেই। কারণ আপনারা জানেন ফুটবলে কীভাবে সবকিছু চলে।’

You might also like

Comments are closed.