চুয়াডাঙ্গায় গরমে গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ

তাপমাত্রা বেড়ে ৪১ ডিগ্রি

চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড গরমে জেলা শহরে বিভিন্ন সড়কের পিচ গলে যেতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। রোদের তাপে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশাচালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ।

শুক্রবার (৯ মে) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের অর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ। শহরের কোর্টরোড-বড়বাজার সড়কে পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।

তীব্র তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে বয়স্কদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি। ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা পার হলেই ঝুঁকি থাকে। এ জন্য অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বেশি বেশি পানি, ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু-কিশোরদের ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের মুরগি খামারি জুনায়েদ বলেন, তীব্র গরমে বয়লার মুরগি মারা যাচ্ছে। এ ছাড়া ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আরও বেশি হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। পোল্ট্রি, লেয়ার, কালার বার্ড, সোনালিসহ বিভিন্ন জাতের মুরগি মারা যাচ্ছে গরমে। এতে খামারিদের পথে বসার অবস্থা হয়ে পড়েছে।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর হক বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ১৩ মে পর্যন্ত ক্রমেই বাড়তে পারে।

প্রচণ্ড গরমে সড়কের পিচ গলে যাওয়ার প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) মুহাম্মদ মনজুরুল করিম বলেন, বিভিন্ন স্থানে পিচ গলে যাচ্ছে বলে জেনেছি। সেখানে আমরা বালু ছিটিয়ে দিচ্ছি। এতে যান চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। তবে রোদের এই তীব্রতা চলমান থাকলে যান চলাচলে সামান্য বিঘ্ন ঘটতে পারে। আমরা সব সময় তদারকি করছি যেন কোনো সমস্যা না হয়।

-চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

You might also like

Comments are closed.