চীন থেকে বাংলাদেশে উৎপাদন স্থানান্তর করবে জাপানের কয়েক প্রতিষ্ঠান

জাপান বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (জেবিসিসিআই) লক্ষ্য করেছে যে কয়েকটি জাপানি প্রতিষ্ঠান চীন থেকে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে তাদের উৎপাদন সরিয়ে নেয়ার কথা বিবেচনা করছে। খবর: বাসসের।

শনিবার নগরীর লেকশোর হোটেলে কনভেয়ার লজিস্টিকস লিমিটেড আয়োজিত জেবিসিসিআইয়ের দশম নেটওয়ার্কিং গেদারিং-এ এই পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরে।

অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত নওকি ইতো প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং জেবিসিসিআইয়ের সভাপতি ইউজি অ্যান্ডো অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

নওকি ইতো বলেন, জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৩১০টি জাপানি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমলাতন্ত্র এবং কর নীতিমালা সংক্রান্ত বিষয়গুলো সহজ করা হলে এবং সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতায় আরও এগিয়ে আসলে এই সংখ্যা বাড়বে।

নওকি ইতো মনে করেন, মেগা প্রকল্পের দিক থেকে ২০২০-২০২৪ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের মতো মেগা প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হবে।

ইউজি অ্যান্ডো বলেন, কিছু জাপানি প্রতিষ্ঠান চীন থেকে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে তাদের উৎপাদন স্থানান্তরের বিষয়ে বিবেচনা করছে। এজন্য সহায়ক কাঠামো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ উন্নত সহায়ক কাঠামোর ওপরই সরবরাহ ব্যবস্থা নির্ভর করে। সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস বিশ্বের বৃহত্তম উদ্বেগের বিষয় এবং এটি বিশ্ব সরবরাহ চেইনে বিশাল প্রভাব ফেলছে। আমরা জানি যে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পরিবহন ও সহায়ক কাঠামো ব্যবস্থাই মূল বিষয়।

তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরের জন্য লজিস্টিক সহায়ক কাঠামো পরিবেশ উন্নয়ন এবং নিয়মকানুনের উন্নতির জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তুতি নিতে হবে। এই ক্ষেত্রে লজিস্টিক খাতে বাধাগুলো অপসারণে সরকারকে অনুরোধ করার জন্য আমাদের সব সদস্যের সমর্থন দরকার।

অন্যদের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেবিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ হিদাকি এবং সেক্রেটারি জেনারেল তারেক রফি ভূঁইয়া (জুন)।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.