চীন-তাইওয়ানের পুনর্মিলন হবেই: শি জিনপিং
তাইওয়ানের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে চলতি বছর শেষ করলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেছেন, চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের ‘পুনর্মিলন’ কেউ থামাতে পারবে না;চীন-তাইওয়ানের পুনর্মিলন হবেই।
নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। বুধবার (১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিং দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে পুরো তাইওয়ান চীনের একটি অংশ। যদিও তাইওয়ানের জনগণ নিজেদেরকে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ বলে মনে করে। তারপরও তাইওয়ান দ্বীপ রাষ্ট্রটির চারপাশে বিমান বাহিনী এবং নৌ মহড়া চালিয়ে প্রকাশ্যে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে আসছে চীন।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে, বেইজিং তাইপের উপর ক্রমাগত চাপ বাড়িয়েছে এবং দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
মে মাসে তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীন তিন দফায় বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালিয়েছে।
তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সামরিক মহড়া ও শক্তি প্রয়োগ করা ছাড়বে না বলেও হুঁশিয়ারি দেয় বেইজিং।
এদিকে চলতি মাসের শুরুতে বেইজিং যে সামরিক মহড়া চালিয়েছে তা বছরজুড়ে হওয়া মহড়াগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের কর্মকর্তারা। এছাড়া চীন একাধিকবার তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে বলেও দাবি তাদের।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার নববর্ষের ভাষণে বলেন, তাইওয়ান প্রণালী ও চীনের জনগণ এক পরিবার। কেউ আমাদের রক্তের বন্ধন ছিন্ন করতে পারবে না। কেউ মাতৃভূমির পুনর্মিলনের ঐতিহাসিক ধারাকে থামাতে পারবে না।
প্রেসিডেন্ট শির মন্তব্য এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেছে যখন তিন সপ্তাহ পর ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
তাইওয়ান বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে বিরোধের একটি মূল বিষয়। তাইওয়ান এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মিত্র এবং ওয়াশিংটন তাইপের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারীও।