চিকিৎসা: জুলাই আন্দোলনে আহত ৭ জন গেলেন সিঙ্গাপুরে
অন্তর্বর্তী সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জুলাই আন্দোলনে আহত সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি)সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তারা সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল আই সেন্টারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া এই সাতজন হলেন, আব্দুল্লাহ আল বাকী, আকতার হোসেন, মো. ইয়ামিন, ফয়েজ আহমেদ, মিনহাজুল ইসলাম শুভ, মোহাম্মদ রমজান ও সালমান বিন শোয়াইব।
জানা গেছে, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে অনেকেই চোখে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। অনেকে দুই চোখ হারিয়ে অন্ধ হয়ে যান। আবার কারও হারিয়েছে একচোখ। অধিকাংশের চিকিৎসা দেশেই হয়েছে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নিজ উদ্যোগী হয়ে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন তাদের। চোখে আঘাতপ্রাপ্তদের চিকিৎসার জন্য বোর্ড গঠিত হয়েছে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনেককেই দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত ১৩ জনকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। আরও কয়েকজনকে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে তাদের হাতে ফ্লাইটের টিকিট তুলে দেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আহতদের চিকিৎসাবিষয়ক সেলের আহ্বায়ক ডা. মাহমুদা আলম মিতু।
আহতদেরকে ফ্লাইটের টিকিট তুলে দিতে এসে ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশে আহতদের চিকিৎসার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে সবসময় খোঁজখবর রাখেন। আমরা দ্রুত আরও কয়েকজন বিদেশ পাঠাবো। আগামী সপ্তাহে খোকনকে রাশিয়ায় নেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহতদের চিকিৎসাবিষয়ক সেলের আহ্বায়ক ডা. মাহমুদা আলম মিতু বলেন, আমরা আহতদের চিকিৎসা বিষয়ক সেল সবসময় মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছি। চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি। আহতরা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা যেকোনো কিছু করতে পারি। যারা সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক, এ জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।