চিকিৎসার নতুন দুয়ার খুলল, প্রথম চীনে গেলেন ১৪ রোগী
বিদেশে চিকিৎসায় বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম পছন্দ ভারত। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানোপড়েন চলছে। এতে দেশটি ভিসা দেওয়া সীমিত করে দিয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাংলাদেশি রোগীরা। এই অবস্থায় বিকল্প দেশ হিসেবে এগিয়ে এসেছে চীন। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করাসহ বাংলাদেশি রোগীদের সব ধরনের সেবা দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছে দেশটি। সেই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে চীনের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ১৪ জন রোগী।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরের দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের কুনমিংয়ের উদ্দেশে রওয়ানা করেন তারা। এসময় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়ান ওয়েন ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত জানান, মেডিকেল চেকআপ ও চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম ব্যাচ আজ চীন যাচ্ছে। এখানে মোট ৩১ সদস্য রয়েছেন। যেখানে ১৪ জন রোগী, ৬ জন পরিবারের সদস্য, ৫ জন চিকিৎসক, ৫ জন এইচইউসি প্রতিনিধি এবং সাংবাদিক আছেন।
ইয়াং ওয়েন বলেন, চীন রোগীদের সক্ষমতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী একাধিক স্কিম রেখেছে। ইতোমধ্যে ভিসা প্রসেস সহজ করা হয়েছে এবং চাইনিজ এয়ারলাইন্স রোগীদের সুবিধার্থে স্বল্পমূল্যে বিমান টিকিটের ব্যবস্থা করছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন সরকার বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী চারটি হাসপাতাল ডেডিকেট করেছে। সব হাসপাতালে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চমানে স্বাস্থ্যসেবার সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রোগীদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী হায়দার আলী, আইনজীবী রাকিনুল হাকিমসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরতরা।
হায়দার আলী বলেন, আমি অনেক জায়গায় চিকিৎসা করেছি, কিন্তু কাজ হয়নি। আমি পশ্চিমা দেশেও চিকিৎসা করেছি। তবে শুনেছি, চীনা ভালো চিকিৎসা দেওয়া হয়, সেখানে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছি। আশা করি, ভালো চিকিৎসা পাবো।
আইনজীবী রাকিনুল হাকিম বলেন, প্রথমবারের মতো চিকিৎসা নিতে চীনে যাচ্ছি। এর আগে আমরা চিকিৎসা নিতে থাইল্যান্ড যেতাম। আশা করি, চীনে উন্নত চিকিৎসা পাবো এবং সুস্থ হয়ে ফিরবো। বাংলাদেশের আরও রোগী যাবেন এবং সুবিধা পাবেন।

Comments are closed.