চাকরিতে যে সব দক্ষতা বেশি দরকার
প্রযুক্তি এখন বিকশিত হচ্ছে দ্রুতগতিতে। তাই প্রতিটি মানুষের প্রযুক্তিসহ নানা দক্ষতা সবারই থাকা দরকার। পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি ব্যক্তির জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে গড়ে ওঠা আরও কিছু দক্ষতাও থাকে, যেগুলোকে সফট স্কিল বলা হয়। এসব স্কিল মূলত মানুষের এমন কিছু ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য, যা অন্যদের সঙ্গে সফলভাবে কাজ করতে ও সম্পর্ক গড়তে সাহায্য করে।
এসব সফট স্কিল ব্যাখ্যা করা কঠিন হলেও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এগুলোর প্রভাব ঠিকই পড়ে। কারণ দিন শেষে ব্যবসার দুনিয়াটাই এমন, যা ক্রমাগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। বর্তমান বাজারের নিত্যনতুন চাহিদার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রতিটি মানুষের এই সফট স্কিলগুলো জানা জরুরি। আসুন সেগুলো জেনে নিই—
নেতৃত্ব : কারও মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা থাকলে তিনি একটি দলকে ইতিবাচক উপায়ে পরিচালনা করতে পারেন।
আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা : আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে আপনাকে সহকর্মীরা বুঝতে, তাদের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে সহায়তা করবে।
সমালোচনামূলক ও কৌশলগত চিন্তা : কোম্পানিকে কৌশলগত পরিকল্পনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোকে সমালোচনামূলকভাবে বিশ্লেষণ করা।
সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন : কোম্পানির উন্নতির প্রক্রিয়াগুলোতে সৃজনশীলতা ও নতুনত্ব আনা।
পেশাগত নীতি : এটি হলো একজন ব্যক্তির আচরণ, নীতি ও সততার প্রতিফলন।
কার্যকর যোগাযোগ : নিজের ভাবনাকে স্পষ্ট ও সহজভাবে প্রকাশ করা। হতে পারে সেটি লিখিতভাবে বা মৌখিকভাবে।
দলগত কাজ : প্রতিষ্ঠানের ভালোর জন্য দলের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক থাকা।
সমস্যা সমাধান : অপ্রত্যাশিত কোনো সমস্যার সমাধান পদ্ধতিগতভাবে খুঁজে বের করা এবং বিশ্লেষণ করা।
মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা : নতুন পরিস্থিতিতে দ্রুত মানিয়ে নিতে সক্ষম ও নমনীয় হওয়া।
সময়ের ব্যবস্থাপনা : উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কার্যকরভাবে সময়কে ভাগ করা।
আলোচনার ক্ষমতা : বিভিন্ন বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষমতা।
সহানুভূতি : দলের এবং বাজারের প্রয়োজনীয়তা বুঝে সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা।
গ্রাহক কেন্দ্রিকতা : গ্রাহকের চাহিদা ও প্রত্যাশার কথা মাথায় রাখা।
লক্ষ্য অর্জন : পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনের দক্ষতা।
পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ : কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের দক্ষতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া। তারা যাতে বাধা পেরোতে পারে। সেজন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সাহায্য করা।
প্রোঅ্যাকটিভিটি : সমস্যা বা প্রয়োজনকে আগে থেকে আন্দাজ করে আগাম উদ্যোগ নেওয়া।
দায়িত্ব ও সততা : নিজের দায়িত্বগুলো সততা ও স্বচ্ছতার সাথে পালন করা।
সেভাবে সফট স্কিলগুলো বাড়াবেন : সফট স্কিল বাড়াতে নিয়মিত নিজেকে আপডেট করাটা গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে কোনো কর্মশালা, সেমিনার বা প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া যেতে পারে। সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা গড়ে তোলা ও নিজেকে জানার জন্য আত্মবিশ্লেষণ করা জরুরি। ব্যক্তিগত ও পেশাগত উন্নতির জন্য নিয়মিত ফিডব্যাক নেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। খবর বিবিসি বাংলার