সাহরির জন্য চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ, দগ্ধ এক পরিবারের ৬ জন
চাঁদপুরে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়েছে। সাহরির জন্য খাবার গরম করতে গ্যাসের চুলা জ্বালাতেই গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। রবিবার (৯ মার্চ) ভোর রাতে শহরের কোড়ালিয়া এলাকায় একটি বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনিস্টিটিউটে রেফার করা হয়েছে।
আহতরা হলেন আ. রহমান, তার স্ত্রী শানু বেগম, বড় ছেলে ইমাম হোসেন, তার স্ত্রী খাদিজা বেগম, মেঝো ছেলের বৌ নিবা ও ছোট ছেলে মহিন। এদের মধ্যে মাহিন ও নিবা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি সদস্যদের ঢাকায় জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার ভোররাতে সাহরির জন্য খাবার গরম করতে রান্নাঘরে যান পুত্রবধূ খাদিজা বেগম। ওই সময় গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন ওই বাড়ির ছয়জন। তাদের মধ্যে চারজনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বাড়িতে ১১ জন ছিলেন। এরমধ্যে ছয়জন দগ্ধ হন।
আবদুর রহমানের ছোট ছেলে রাতে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। এতে রাতে বাড়ির প্রথম দরজায় তালা লাগিয়ে রাখেন। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়লে তাদের বাড়ি থেকে বের হতে বিলম্ব হয়। প্রতিবেশীরা দরজা খোলার পরে তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
আগুন ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে। বিষ্ফোরণে তছনছ ঘর। ছবি: সংগৃহীত
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ভোর প্রায় ৪টার দিকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ৬ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা জাতীয় বার্ন ও সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করা হয়। এদের মধ্যে কারো শরীরের ৫০ ভাগ ও কারো ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। বাকি দুই জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের প্রায় ২০ ভাগ পুড়েছে।’

Comments are closed.