চলে গেলেন প্রিন্স ফিলিপ, অল্পের জন্য হতে পারেন নি শতবর্ষী

বৃটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ মারা গেছেন শুক্রবার সকালে। রাজভবন উইন্ডসর ক্যাসলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তিনি ১৯৪৭ সালে প্রিন্সেস এলিজাবেথকে বিয়ে করেন। বিয়ের পাঁচ বছর পর প্রিন্সেস এলিজাবেথ বৃটেনের রাণি হন, যিনি এখনও রাণি হিসেবে বহাল রয়েছেন। জানা গেছে, ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে প্রিন্স ফিলিপ কোন রাজা বা রাণির সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের জীবনসঙ্গী ছিলেন।

অসুস্থ বোধ করায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কিং এডওয়ার্ড হাসপাতালে ভর্তি করার পর দীর্ঘ এক মাস চিকিৎসা নিয়ে মার্চে হাসপাতাল ছাড়েন ফিলিপ। তিবে ঠিক কি কারণে প্রিন্স ফিলিপকে তখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তা প্রকাশ করা হয়নি। ভর্তির সময় বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল- প্রিন্স ফিলিপের অসুস্থার কারণ করোনাভাইরাস নয়। গত জানুয়ারিতেই প্রিন্স ফিলিপ এবং রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ করোনার টিকা নিয়েছিলেন।

সিএনএন জানিয়েছে- আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে, ১৯২১ সালের ১০ জুন গ্রীক দ্বীপ কর্ফুতে প্রিন্স অ্যান্ড্রু এবং প্রিন্সেস অ্যালিসের ঘরে ফিলিপের জন্ম হয়েছিল। ফিলিপের বাবা প্রিন্স অ্যান্ড্রু ছিলেন গ্রীস ও ডেনমার্কের যুবরাজ, হেলেনের রাজা প্রথম জর্জের ছোট ছেলে। আর মা প্রিন্সেস অ্যালিস ছিলেন লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেনের মেয়ে, কুইন ভিক্টোরিয়ার নাতনি। ফিলিপের বয়স যখন ১৮ মাস তখন পরিবারটি প্রথনে প্যারিস এবং পরে (১৯২৮) ইংল্যান্ডে চলে যেতে বাধ্য হয়।

শুক্রবার (০৯ এপ্রিল, ২০২১) প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যু ঘোষণা করা হয়েছে। আর মাত্র দুই মাস বেঁচে থাকলেই তার বয়স হতো ১০০ বছর। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর সংবাদ শিরোনামেও তাই লেখা হচ্ছে, প্রিন্স ফিলিপ ৯৯ বছর বয়সে মারা গেছেন।

এদিকে, পদবি আর খেতাব মিলিয়ে প্রিন্স ফিলিপের নামের শেষে ১৩৩ শব্দ (ডিউক, আর্ল, ব্যারন, রয়াল নাইট ইত্যাদি) যোগ করা হলেও সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত যে পরিচয়, তা কিন্তু তিনি কখনোই পান নি! ব্রিটিশ রাণি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ‘দীর্ঘ সময়ের স্বামী’ হলেও তিনি কখনো ‘রাজা’ হতে পারেন নি! কারণ ব্রিটিশ রাজপরিবারে রাজার স্ত্রীকে রাণি ডাকা হলেও, রাণির স্বামীকে রাজা ডাকা হয় না।

যে কারণে প্রিন্স হ্যারিকে ডিউক অব সাসেক্স ঘোষণা করা হলে তার স্ত্রী মেগান মার্কেল হন ডাচেস অব সাসেক্স। আবার প্রিন্স উইলিয়াম কখনো রাজা হলে তার স্ত্রী কেট মিডলটন হবেন কুইন বা রাণি। কিন্তু স্বামীরা তাদের স্ত্রীর সঙ্গে মিলিয়ে পদবি পান না। আলংকারিক অর্থে ‘রাণি’র ব্যবহার থাকলেও রাজা কেবল ক্ষমতাবলেই হয়ে থাকেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.