চট্টগ্রাম ও সিলেটে কেএফসি, বাটা ও পিৎজা হাটে ভাঙচুর-লুটপাট

চট্টগ্রাম ও সিলেটে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের প্রতিবাদে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে কেএফসি, পিৎজা হাট ও বাটার শোরুমে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) দেশজুড়ে বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে এ দুটি বিভাগীয় শহরেও।

চট্টগ্রামে অল স্টুডেন্টস ইউনিটি, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও হেফাজত ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত জোটের বিক্ষোভ মিছিল জিইসি মোড়ে পৌঁছালে কেএফসি ও পিৎজা হাটের সামনে বিক্ষুব্ধরা ইট-পাটকেল ও জুতা নিক্ষেপ করে। এতে রেস্টুরেন্ট দুটির কাচের দেয়াল ভেঙে যায়। পাঁচলাইশ ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয়ের কোকাকোলার সাইনবোর্ডও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মিছিলটি বিপ্লব উদ্যান থেকে শুরু হয়ে নাসিরাবাদ, জিইসি মোড় হয়ে ২ নম্বর গেটে গিয়ে শেষ হয়। পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ভাঙচুরের তদন্ত চলছে।

সিলেটে বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি মালিকানার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেএফসি ও বাটার শোরুমকে লক্ষ্যবস্তু করে। মিরবক্সটুলার কেএফসি শাখায় ভাঙচুর চালিয়ে রেস্টুরেন্টের সরঞ্জাম ও পানীয় নষ্ট করা হয়। একই সময় দরগাগেটের বাটার শোরুমেও হামলা হয়। বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনে গণহত্যার সাথে জড়িত ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে অপসারণের দাবি তোলে।

বিক্ষোভকারীরা জানায়, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যাকারী ইসরায়েলের কোনো প্রতিষ্ঠানের ঠাঁই হবে না এদেশে। এটি মেনে নেওয়া যায় না। ফিলিস্তিনি ভাইদের রক্ষা করতে বাংলাদেশের কোটি কোটি জনতা প্রস্তুত রয়েছে। চলমান হামলা শুধু একটি অঞ্চলের নয়, সমগ্র মুসলিম বিশ্বের প্রতি আঘাত। এই অমানবিকতা বন্ধে বিশ্বনেতাদের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান তারা।

You might also like

Comments are closed.