ঘুমের সময় মোবাইলফোন কতটা দূরে রাখবেন

বর্তমান সময়ে আমাদের দিনের বেশিরভাগ সময় কাটছে মোবাইল ফোন নিয়ে। সকালে ঘুম ভাঙার পর থেকে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত স্মার্টফোনে নানান কাজে ব্যস্ত থাকেন। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা, শপিং করে বিল মেটানো থেকে শুরু করে বাস-ট্রেনের টিকিট কাটা, সিনেমা দেখা সবই সম্ভব এক স্মার্টফোনে। তাই তো বলা যায়, সঙ্গে স্মার্টফোন থাকলে আর কিছুই লাগে না।

ঘুমানোর সময়ও সঙ্গে থাকে স্মার্টফোনটি। সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করতে করতে যখন ঘুম পান বালিশের পাশেই ফোন রেখে ঘুমিয়ে যান। কিন্তু জানেন কি, এতে নিজের কতটা ক্ষতি করছেন? ঘুমোনোর সময় বালিশের নিচে কিংবা বালিশের আশপাশে স্মার্টফোন রাখা একেবারেই উচিত নয়।

 

রাতে ঘুমানোর সময় বালিশের নিচে মোবাইল রাখার ভুল করবেন না। এমন অভ্যাস থাকলে তা অবিলম্বে ত্যাগ করা উচিত। এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। রাতে বালিশের তলায় কিংবা বালিশের আশপাশে ফোন রেখে ঘুমোলে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

স্মার্টফোনের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো আমাদের দেহের মেলাটোনিন হরমোনকে প্রভাবিত করতে পারে। যার কারণে ঘুমের মান খারাপ হতে শুরু করে এবং ঘুমও দেরিতে আসে। এর ফলে ঘুমের অভাব, ক্লান্তি এবং মানসিক অবসাদের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। ধীরে ধীরে অনিদ্রা রোগ গ্রাস করতে থাকে। এছাড়াও ফোনে ক্রমাগত নোটিফিকেশন এবং অ্যালার্ট আসতে থাকে। যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

 

এখানেই শেষ নয়, স্মার্টফোন থেকে ক্রমাগত আরএফ (রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি) রেডিয়েশন নির্গত হয়। যা মস্তিষ্ক এবং শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। আর দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল রেডিয়েশনের সংস্পর্শে থাকার ফলে দেহে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।

তাহলে বালিশ কিংবা নিজের থেকে কতটা দূরে স্মার্টফোন রাখা উচিত জানেন? রাতে ঘুমোনোর সময় নিজের থেকে স্মার্টফোনটি কমপক্ষে ৩-৪ ফুট (প্রায় ১ মিটার) দূরে রাখা উচিত। যাতে এর রেডিয়েশন, নীল আলো এবং অতিরিক্ত গরম আমাদের শরীর ও মনের উপর প্রভাব না ফেলতে পারে।

You might also like

Comments are closed.