ঘর খুঁজতে এসে ইসরা/য়েলের গুলিতে প্রা/ণ গেল ৫ ফিলিস্তিনির
গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকায় নিজেদের ঘর খুঁজতে আসা পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, নিহত ব্যক্তিরা তাদের সেনাদের দিকে এগিয়ে আসছিলেন, তখনই তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
গাজার জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, জাবালিয়ার হালাওয়া এলাকায় ইসরায়েলি গুলিতে আরও কয়েকজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। তবে আহতের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, পুনঃবিন্যাস লাইনের কাছে আসা কয়েকজন ফিলিস্তিনির ওপর তাদের সেনারা গুলি চালিয়েছে। এসব ঘটনা ঘটেছে খান ইউনিস ও গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকায়।
এদিকে যুদ্ধবিরতির সুযোগে অনেক ফিলিস্তিনি নিজেদের বাড়িঘর দেখতে ধ্বংসস্তূপে ফিরছেন। তবে গাজার বিস্তীর্ণ এলাকা এখনো ইসরায়েলি সেনাদের নজরদারিতে থাকায় যেকোনো নড়াচড়া দেখলেই গুলি চালানো হচ্ছে।
গাজার পূর্বাঞ্চলে এখনো গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কাতার, মিশর এবং তুরস্কের নেতাদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এর মধ্যেই পুরোনো রূপে ফিরে গেছে ইসরায়েলি সেনারা।
এদিকে ইসরায়েলি বন্দিদশা থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছেন, তাদের মারধর এবং অপমান করা হয়েছে। ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া এক ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের ওফার কারাগারকে ‘কসাইখানা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
সোমবার বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে ইসরাইল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। অপরদিকে হামাস গাজায় আটক ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে এবং আরও চারজনের মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৭ হাজার ৮৬৯ জন নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ১০৫ জন আহত হয়েছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা

Comments are closed.