ঘরে ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা, পরিষ্কার করছেন মসজিদ

দুই বছরের বন্ধ থাকার পর আবার খুলে দেওয়া হয়েছে গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের ‘মসজিদে শুহাদা’। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা এই মসজিদ ঘিরে আবারও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে স্থানীয়দের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবন।

ইসরায়েলি হামলায় দুই বছর ধরে বন্ধ ছিল শুহাদা মসজিদ। এখন স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে মসজিদ পরিষ্কার ও সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন। মসজিদটিকে নামাজের উপযোগী কর তুলতে তারা মসজিদের দরজা, জানালা ঠিক করছেন, ধুলাবালি পরিষ্কার করছেন।

মসজিদটি পুনর্গঠনের মাধ্যমে গাজার মানুষ অদম্য মনোবল ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞের মাঝেও তারা প্রমাণ করছেন, ইবাদত ও ঐক্যের স্থানগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করার শক্তি তাদের মধ্যে আছে।

দীর্ঘ দুই বছরের যুদ্ধে মসজিদটি বন্ধ থাকায় নুসাইরাত শিবিরের মানুষ নামাজ ও আধ্যাত্মিক আশ্রয়ের স্থানও হারিয়েছিল। এখন পুনরায় মসজিদ খোলার প্রস্তুতিতে তারা ফিরছে সেই পরিচিত আবহে, ফিরছে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের উষ্ণতায়।

suhada mosque gaza

স্থানীয় জনগণ স্বেচ্ছাশ্রম ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে মসজিদ পরিষ্কার ও পুনর্গঠনে কাজ করছেন। কোনো সরকারি সহায়তা ছাড়াই তারা নিজেরা মিলেই গড়ে তুলছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত এই মসজিদ।

এই উদ্যোগ্যের মাধ্যমে মসজিদের পাশাপাশি পুরো সমাজের পুনর্জাগরণের সূচনা হয়ে উঠবে বলে আশা করেন গাজার মানুষ।

সূত্র : আল জাজিরা, আখবারুল কুদস

You might also like

Comments are closed.