গাজীপুরে মোজাম্মেলের বাড়িতে হামলায় আহত ৭ জন ঢাকা মেডিকেলে

সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের গাজীপুরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের সময় এলাকাবাসীর হামলায় আহতদের মধ্যে সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় বেলা শনিবার( ৮ ফেব্রুয়ারি) ১১টায় ‘মার্চ টু গাজীপুর’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে গাজীপুর থেকে সাতজনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাদের চিকিৎসা চলছে।

তারা হলেন- গাজীপুরের সাইন বোর্ডের কামারজুরি এলাকার ফজলুর ছেলে শুভ শাহরিয়া (১৬), গাছা থানার শরীফপুর এলাকার মেহের আলীর ছেলে ইয়াকুব (২৪), টঙ্গী পূর্ব থানার মধুমিতা রোড এলাকার গণেশ ঘোষের ছেলে সৌরভ (২২), গাছা থানার আলহেরা পেট্রোল পাম্প এলাকার হাজী জামালের ছেলে কাশেম (১৭) এবং গাজীপুর সদর থানার জোড়পুকুর এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে হাসান (২২)। বাকি দুইজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে হামলার ঘটনায় বেলা ১১টায় শহরে ‘মার্চ টু গাজীপুর’ কর্মসূচির ঘোষণার কথা বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাবিল।

এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনায় ১৩ জন আহতের খবর দেয় গাজীপুর মহানগর পুলিশের এডিসি (উত্তর) রবিউল ইসলাম।

আহত সৌরভের বন্ধু পিয়াস সাংবাদিকদের বলেন, “রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ডাকাতি ও লুটপাটের খবর শুনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সেখানে যায়। এ সময় আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় লোকজন মাইকিং করে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার বন্ধুসহ অনেকেই আহত হয়। তাদের মধ্যে সাতজনকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

রাতে হামলায় আহত ১৩ জনের মধ্যে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাবিল। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে লুটপাটের খবর পেয়ে আমাদের কয়েকজন সেখানে যান। পরে আমিও সেখানে গিয়ে লুটপাটের ঘটনা দেখতে পাই। এ সময় এলাকাবাসীদের লুটপাট থামাতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানোর পরই কিছু মুখোশধারী লোক আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে মারধর করে। পরে আমি গাছা থানা, বাসন থানা, টঙ্গী থানা ও সদর থানায় খবর দেই। তবে তারা আসতে দেরি করে।

নাবিল বলেন, হামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বেশকিছু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে শিক্ষার্থীরা এভাবে আহত হত না। এ ঘটনার দ্রুত বিচার চাই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাজীপুরের মূখ্য সংগঠক মো. রবিউল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “কতিপয় লোক মহানগরের ধীরাশ্রম দাখিনখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে আমাদের লোকজন ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলাকাবাসী আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে ১৩ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় বলে জানান রবিউল হাসান।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.