গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বিত হওয়ার শঙ্কা

যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের তালিকা এখনো প্রকাশ করেনি হামাস। এই কারণে চুক্তি কার্যকরে বিলম্ব হতে পারে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতির বরাতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত জিম্মিদের তালিকা হাতে না আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই চুক্তির ব্যাপারে অগ্রসর হব না। ইসরায়েল কোনোভাবেই চুক্তি লঙ্ঘন সহ্য করবে না। আর এমন কিছু হলে তার সম্পূর্ণ দায় হামাসের।’

মধ্যস্থতাকারীদের সমন্বয়ে স্থানীয় সময় রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, মুক্তির অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে হামাসকে জিম্মিদের নামের তালিকা সরবরাহ করতে হবে। তবে এখনো হামাস এই তালিকা প্রকাশ করেনি। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত জিম্মিদের মুক্তির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি রোববার গাজার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কার্যকর হবে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ছয় ঘণ্টা বৈঠকের পর নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা এ চুক্তি অনুমোদন দেয়। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল–আনসারি এক্স হ্যান্ডলে বলেন, হামাস ও ইসরায়েল এবং

গাজাবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে আল–আনসারি বলেন, ‘সবাইকে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং সরকারি সূত্র থেকে নির্দেশনা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে সশস্ত্র ব্যক্তিরা ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকায় হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন সেনা ও বেসামরিক মানুষ হত্যা এবং ২৫০ জনকে বন্দী করে। এরপর থেকেই ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। এই যুদ্ধে ৪৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ২৩ লাখ। অন্যদিকে জিম্মিদের অনেককেই মুক্তি দিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গাজায় হামাসের কাছে এখনো ৯৮ জন জিম্মি জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় রয়েছেন।

You might also like

Comments are closed.