গাইবান্ধায় ছুরিকাহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা, থানা ঘেরাও

গাইবান্ধায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন ছাত্র আহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ মাঠে বাণিজ্য মেলায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।এর প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আহতদের গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গাইবান্ধা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম আকাশের অবস্থা বেশি গুরুতর। অপর আহত দুজন হলেন, মেহেদী হাসান ও যুগ্ম সদস্য সচিব শেফাউর রহমান।

পরে এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শহরের ডিবি রোডে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে রাত ১২টার দিকে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গাইবান্ধা সদর থানা ঘেরাও করে রাখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শতাধিক নেতাকর্মী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহত ছাত্রনেতা, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শহরের স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ মাঠে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার শেষ দিন ছিল সোমবার। ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে শরিফুল ইসলাম আকাশ, মেহেদী হাসান ও শেফাউর রহমান মেলায় বেড়াতে যান। এ সময় একটি দোকানে এক নারীকে হেনস্তা করা হচ্ছিল দেখে শরিফুল ইসলামসহ ছাত্র নেতারা বাধা দেন। এ ঘটনায় একদল দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। এতে শরিফুল ইসলামসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। শরিফুল ইসলাম আকাশের অবস্থা গুরুতর। তার পেটের একটু উপর থেকে প্রায় ৫০টির মতো সেলাই পড়েছে। অন্য দুইজনকেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধা জেলা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ মিয়া বলেন, ‌‘ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের একটি ন্যক্কারজনক প্রচেষ্টা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এতক্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমরা থানা ঘেরাও করে রাখবো।’

থানা ঘেরাও: এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাত ১২টা থেকে গাইবান্ধা সদর কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শতাধিক নেতাকর্মী। তারা থানার সামনে বসে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তারা স্লোগান দেন, ‘দুর্বল প্রশাসন, লজ্জা লজ্জা’। রাত দেড়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা ঘেরাও কর্মসূচি অব্যাহত ছিল।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার নিশাত এঞ্জেলা বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। দ্রুত হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। ছাত্রদের শান্ত করার চেষ্টা করা চলছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.