গাইবান্ধায় বিয়ের পরদিন নববধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, স্বামী গ্রেপ্তার

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় এক নববধূকে (১৮) বিয়ের পরদিন দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় নববধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে আজ রোববার (৩১ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত বুধবার সাঘাটা উপজেলার এক তরুণের সঙ্গে পাশের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার এক তরুণীর বিয়ে হয়। নতুন বউকে নিয়ে সাঘাটার বাড়িতে চলে যায় বরপক্ষ। পরের দিন বৃহস্পতিবার নববধূকে নিয়ে গোবিন্দগঞ্জে তাঁর বাবার বাড়িতে যান বর ও ছয় বন্ধু। ওই রাতে নববধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বর ও তাঁর ছয় বন্ধুকে বাড়ির লোকজন মারধর করেন।

পরদিন শুক্রবার নববধূর বাড়ির লোকজন বর, তাঁর বন্ধুসহ সাতজনকে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ এনে এলাকার লোকজন সাতজনকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন।

গত শনিবার বরের বাড়ির লোকজন সাঘাটা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, সাতজনকে অন্যায়ভাবে গোবিন্দগঞ্জ থানায় আটকে রাখা হয়েছে। পরে গতকালই সাতজনকে সাঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গতকাল নববধূর বড় ভাই বাদী হয়ে বর ও অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে সাঘাটা থানায় ধর্ষণের মামলা করেন।

এ বিষয়ে আজ সকালে সাঘাটা থানার ওসি বাদশাহ আলম বলেন, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ না দেওয়ায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। নববধূর স্বামীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে সঠিক তথ্য জানানো হবে।

গত শুক্রবার নববধূকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ফাহাদ আল আসাদ বলেন, চিকিৎসা নিতে আসা ওই নববধূর শরীরে ধর্ষণ ও নির্যাতনের আলামত আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

You might also like

Comments are closed.