গাঁজার ব্যবসার কথা পুলিশকে জানাতে গিয়ে সোনাইমুড়ীর সাহাব সন্ত্রাসী হামলায় আহত

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গাঁজার ব্যবসার কথা পুলিশকে জানাতে গিয়ে কুড়ালের আঘাতে জখম হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত ভুক্তভোগীর নাম মোঃ সাহাব উদ্দিন।

ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়ঃ সোনাইমুড়ী থানার পতিশ গ্রামের মোঃ আব্দুল মালেক (৬৫) ও তার দুই ছেলে মোঃ নুর হোসেন শিপন(৪০), মোঃ আবু ছায়েদ(২২) এবং শাশীআলী গ্রামের মৃত ছিদ্দিক উল্যা এর ছেলে মোঃ মীর হোসেন (৫১) দীর্ঘদিন ধরে গাঁজার ব্যবসার সাথে সংযুক্ত। তাদের এই অবৈধ ব্যবসা সম্পর্কে পুলিশকে অবগত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন শাশীআলী গ্রামের মোঃ সেলিম (৬৭) এর মেজো ছেলে মোঃ সাহাব উদ্দিন (৩৫)।

মোঃ সাহাব উদ্দিনের এমন উদ্দেশ্যের কথা আঁচ করতে পেরে গত ২রা এপ্রিল ভোর আনুমানিক সাড়ে ছয়টায় মোঃ সাহাব উদ্দিনের পথরোধ করে আব্দুল মালেক, মোঃ নুর হোসেন শিপন, মোঃ আবু ছায়েদ এবং মোঃ মীর হোসেন তার উপর লাঠি, লোহার রড এবং কুড়াল দিয়ে আক্রমণ করে। নুর হোসেন শিপনের হাতে থাকা কুড়ালের আঘাতে সাহাব উদ্দিনের ডান পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়।

এছাড়াও আক্রমণকারীরা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করার পাশাপাশি তার গলা টিপে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে সাহাব উদ্দিনের পিতা মোঃ সেলিম এবং তার স্ত্রী ঘটনাস্থলে গেলে উক্ত সন্ত্রাসীরা তাদের উপরও চড়াও হয়। এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে তাদেরও আহত করে। এসময় মোঃ সেলিমের পকেটে থাকা নগদ ১৫,৫০০/- টাকা চুরি হয়। সন্ত্রাসী শিপন এসময় সেলিনের স্ত্রীর গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন গলা থেকে ছিঁড়ে নিয়ে যায় এবং এ ব্যাপারে থানায় মামলা মোকদ্দমা করলে যে কোন সময় ভিকটিমকে প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহায়তায় গুরুতর আহত সাহাব উদ্দিনকে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাহাব উদ্দিনকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে সাহাব উদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসা প্রদানের জন্য পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় সোনাইমুড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.