গলের রান পাহাড়ের শেষটায় বাংলাদেশের সঙ্গী ব্যাটিং ব্যর্থতা

গলে প্রথম ইনিংসের শেষটা যতটা সুন্দর হওয়ার কথা ছিল ততটা হয়নি বাংলাদেশের। অবশ্য এখনো অলআউট হননি নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমরা। তবে শেষ উইকেটে আর কতই বা রান যোগ করতে পারবেন দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। যখন বিশেষজ্ঞ ব্যাটাররাই শেষ সেশনে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন দ্রুত।

দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান করেছে। দুই অপরাজিত ব্যাটার হাসান-রানা আগামীকাল রানের খাতা খোলার সঙ্গে দলীয় স্কোরটাও বাড়ানোর চেষ্টা করবেন।

শেষ সেশনে আজ বাংলাদেশের ব্যাটিং হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে। ২৬ রানে শেষ ৫ উইকেট হারানোই তার প্রমাণ।

যেন দুর্দান্ত খেলা বাংলাদেশের ‘আসল রূপ’। দিনের শুরুটা করেছিলেন দুই অপরাজিত ব্যাটার শান্ত ও মুশফিক। গত দিনে সেঞ্চুরি পাওয়া দুই ব্যাটার আজ বড় লক্ষ্যে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামছিল। কিন্তু গত দিনের ৩ উইকেটে ২৯২ রানের সঙ্গে দলীয় খাতায় আজ ১৭ রান যোগ করতে ফিরেন অধিনায়ক শান্ত।

এতে শান্তর দুর্দান্ত ইনিংসটি থেমে যায় ১৪৮ রানে। সঙ্গে থেমে যায় মুশফিকের সঙ্গে করা চতুর্থ উইকেটে ২৬৪ রানের দারুণ জুটিটাও। বাংলাদেশের অধিনায়ক ফিরলেও লিটন দাসকে নিয়ে আরেকটি সেঞ্চুরির জুটি গড়েন মুশফিক। ১৪৯ রানের জুটি ভাঙার সময় অবশ্য দুজনই আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। কেননা পঞ্চম উইকেটে দুর্দান্ত জুটিটা গড়ার পথে মুশফিক-লিটন দুজনই নিজ নিজ লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন।

তবে দুজনের আশায় গুঁড়েবালি। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি না পাওয়া মুশফিকের বিপরীতে যে নিজের সেঞ্চুরিটাও মিস করেছেন লিটন। মুশফিক থামেন ১৬৩ রানে। আসিতা ফার্নান্দোর বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে এতটাই ধৈর্যশীল ব্যাটিং করছিলেন ৩৮ বছর বয়সী ব্যাটার যা ব্যাটিংয়ের পরিসংখ্যানে ফুটে উঠেছে। ৩৫০ বলের ইনিংসটিতে যে মাত্র ৯টা চার মেরেছেন তিনি। ছক্কা নেই একটিও।

অন্যদিকে ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছে লিটনের। এর দায় অবশ্য তারই বেশি। কেননা অযথা, রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ইনিংসটার ‘মৃত্যু’ ডেকে নিয়ে আসেন তিনি। থারিন্দু রত্নায়েকের করা লেগ সাইডের অনেক বাইরের বলকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন লিটন। এতে ওয়ানডে স্টাইলে খেলা ১১ চার ও ১ ছক্কার ইনিংসটি থেমেছে ৯০ রানে।

দলীয় ৪৫৮ রানে মুশফিক-লিটনের বিদায়ের পর বাংলাদেশের পুরনো ব্যাটিংয়ের দেখা মেলে। একের পর এক ব্যাটার আসা-যাওয়া শুরু করেন। তাতে আলোকস্বল্পতার কারণে দিন শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান। তাতে গলের রান পাহাড়ের শেষটায় ব্যাটিং ব্যর্থতার সাক্ষী হলো বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের হয়ে উইকেটগুলো সমানভাবে ভাগ করে নিয়েছেন আসিতা, মিলন রত্নায়েকে ও থারিন্দু।

You might also like

Comments are closed.