ক্লান্তি দূর করতে যেসব খাবার খাবেন
নানা কারণে শরীরে দেখা দিতে পারে অবসাদ-ক্লান্তি। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে খাবার। তবে বেছে নিতে হবে এমন কিছু খাবার, যা শরীরে সর্বাধিক শক্তি সরবরাহ করতে পারে।
আসুন জেনে নিই এমন কিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বজায় রাখবে এবং শরীরে শক্তি সরবরাহ করে ক্লান্তি দূর করবে।
তাজা ফল ও সবজি: খাবার যত বেশি তাজা ও টাটকা হবে, এতে পুষ্টির পরিমাণও তত বেশি থাকবে। বিশেষ করে তাজা ফল ও সবজি শরীরে শক্তি ভালোভাবে সরবরাহ করে দূর করতে সহায়তা করে ক্লান্তিভাব।
বাদাম: বাদাম শুধু যে সুস্বাদু তাই নয়, এতে আছে অনেক পুষ্টি যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং একই সঙ্গে ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে। বাদামের পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন- চিনাবাদাম, কাজুবাদাম ইত্যাদিতে আছে প্রচুর আমিষ, যা চর্বি ও শর্করা থেকে উৎপন্ন শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে। বাদামে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড মগজের নিউরোট্র্যান্সমিটারের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং মেজাজ ভালো রাখতে এবং শরীরকে সজাক রাখতে সাহায্য করে।
তাজা ফল ও সবজি: খাবার যত বেশি তাজা ও টাটকা হবে, এতে পুষ্টির পরিমাণও তত বেশি থাকবে। বিশেষ করে তাজা ফল ও সবজি শরীরে শক্তি ভালোভাবে সরবরাহ করে দূর করতে সহায়তা করে ক্লান্তিভাব।
বাদাম: বাদাম শুধু যে সুস্বাদু তাই নয়, এতে আছে অনেক পুষ্টি যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং একই সঙ্গে ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে। বাদামের পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন- চিনাবাদাম, কাজুবাদাম ইত্যাদিতে আছে প্রচুর আমিষ, যা চর্বি ও শর্করা থেকে উৎপন্ন শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে। বাদামে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড মগজের নিউরোট্র্যান্সমিটারের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং মেজাজ ভালো রাখতে এবং শরীরকে সজাক রাখতে সাহায্য করে।
ডিম: ডিম এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড। এ ছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন ডি। এটি শক্তি বাড়াতে সহায়ক। ডিম থেকে দিনের প্রয়োজনীয় আমিষের ৩০% ভাগ পাওয়া যায়। ক্লান্তি দূর করতে ডিম খেতে পারেন।
পালং শাক: পালং শাকে আছে প্রচুর আয়রন, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম। শরীরে খাদ্য থেকে শক্তি রূপান্তরের শেষ ধাপে আছে একটি মলিকিউল যার নাম এডিনোসিন ট্রাইফসফেইট। ম্যাগনেশিয়াম এডিনোসিন ট্রাইফসফেইট উৎপাদনে সহায়তা করে। প্রতিদিন নিয়মিত ম্যাগনেশিয়ামযুক্ত খাবার খেলে ক্লান্তি এবং শারীরিক দুর্বলতা দূর হবে।
ওটস: ওটস শুধু নাস্তা হিসেবে নয়, দিনের যেকোনো সময় খেতে পারেন এবং এটি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ ও পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ। এছাড়া ওটস ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
কলা: শরীরে শক্তি সরবরাহ করার জন্য অন্যতম একটি ভালো খাবার হলো, কলা। এতে থাকা পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এবং কার্বোহাইড্রেট শরীরে শক্তি সরবরাহের একটি বড় উৎস হিসেবে কাজ করে এবং ক্লান্তিভাব দূর করতেও সহায়তা করে।
তরমুজ: খুব তাড়াতাড়ি শারীরিক শক্তি বাড়িয়ে তোলে তরমুজ। এর প্রায় পুরোটাই পানি ও সঙ্গে রয়েছে ইলেকট্রোলাইটস। শরীরকে আর্দ্র রেখে শক্তি ফিরিয়ে আনে তরমুজ।
চিয়া সিড: গবেষণায় দেখা গেছেম ক্লান্তি ও মানসিক চাপ কমাতে চিয়া সিড বেশ কার্যকর।
পানি: ক্লান্তবোধ করলে, চেষ্টা করুন বেশি বেশি পানি পান করতে। পানি শরীরকে কর্মক্ষম রাখে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও বিভিন্ন স্থানে খাদ্য উপাদান পরিবহন করে। শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে ভারসাম্যহীনতা ও দুর্বলতা দেখা দেয়।
অনেকে খাওয়ার পর আরো বেশি ক্লান্ত বোধ করেন। এ সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, একবারে বেশি পরিমাণে খাবার না খেয়ে সারা দিনে কয়েকটা ছোট ছোট অংশে খাবার খাওয়া। তবে আপনি যদি প্রতিনিয়ত ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কেননা প্রতিনিয়ত ক্লান্ত বোধ পুষ্টিহীনতা বা অন্য কোনো রোগের কারণ হতে পারে।
তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ