কোটা পদ্ধতি: সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব পেল চার মন্ত্রণালয়

দেশের সরকারি মেডিকেলে ‘কোটায় ভর্তি’র বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চার মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এছাড়া সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা বিষয়ে করণীয় ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে কোটা নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

মেডিকেল ভর্তি ছাড়াও সরকারি চাকরিতে প্রবেশ এবং মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির ক্ষেত্রে ‘কোটা পদ্ধতি’র প্রয়োগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এছাড়া বৈঠকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে বর্তমান প্রেক্ষাপটে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ বিষয়ে মতামত বা সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ বিষয়ে মতামত বা সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

তবে এসব মতামত বা সুপারিশ কতদিনের মধ্যে প্রণয়ন করতে হবে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়নি।

চলতি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত ৫ শতাংশ আসনের ভিত্তিতে ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। পরে সমালোচনার মুখে ১৯৩ জনের ফল স্থগিত হয়।

দীর্ঘদিন ধরে চলমান কোটা পদ্ধতি স্থগিত করে কীভাবে এর ভারসাম্যপূর্ণ প্রয়োগ করা যায়, সে ব্যবস্থা নিতে গত জুলাই মাসে সরকারের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয় সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.