কিডনি রোগীরা যা খাবেন, যা খাবেন না

একজন কিডনি রোগীর ‘কিডনি ড্যামেজ’ কোন পর্যায়ে আছে— সেই অুনযায়ী খাদ্যতালিকা ঠিক করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এ ছাড়া রোগীর শরীরে কোন খাদ্য উপাদান বেশি প্রয়োজন এবং তার রক্তে কোন উপাদান কী পরিমাণে আছে; সেগুলো বিবেচনায় নিতে হয়। সাধারণত একজন কিডনি রোগীকে নিয়মিত স্বল্পমাত্রার প্রোটিন, কম পটাশিয়াম যুক্ত শাকসবজি-ফল, কম লবণ এবং পরিমিত পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মুহা: মুহিউদ্দিন মজুমদার বলেন—

প্রোটিন বা আমিষ: দেহ গঠনের জন্য প্রোটিন জরুরি। এই খাদ্য উপাদান অতিমাত্রায় গ্রহণ করলে কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। আবার কম প্রোটিন খেলে পুষ্টিহীনতায় ভুগতে হতে পারে। সাধারণত আমরা মাছ, মাংস, ডিম, দুধ কম খেতে বলি। কিন্তু আমরা আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি প্রোটিন কম খেলে রোগীরা দুর্বল হয়ে পড়েন। প্রতিদিন এক টুকরো মাছ বা মাংস খেতে পারেন। যেটি হবে দুই ইঞ্চি লম্বা এবং এক ইঞ্চি পুরু।

শাক-সবজি: যেসব শাকসবজিতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি সেগুলো না খাওয়াই ভালো। যেসব শাকসবজিতে পটাশিয়ামের পরিমাণ কম থাকে সেগুলো খেতে পারেন। যেমন— লাউ, চিচিঙ্গা, করলা, বিচি ছাড়া শশা, ডাটা শাক, ঝিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন। যেসব সবজি খাবেন না সেগুলো হচ্ছে আলু, ফুলকপি, বঁধাকপি, পুইশাক, পালংশাক, টমেটো, মূলা এবং যেকোন বীজ জাতীয় খাবার। এগুলো যদি খেতেই হয় তাহলে সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে রান্না করে অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।

ফল: ডাব, কলা, আঙুর, কামরাঙ্গা, লেবু, কমলালেবু, মাল্টা খাবেন না। আপেল, নাশপাতি, আনারস, পেয়ারা, পেঁপে খেতে পারেন।

লবণ: লবণ বেশি খেলে শরীরে পানি জমতে পারে এবং রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। সুতরাং লবণ কম খেতে হবে। খাদ্য তালিকায় প্রোসেস খাবার, ফ্রোজেন খাবার, সয়াসস, বিস্কুট রাখবেন না।

পানি: এক থেকে দেড় লিটার পানি পান করতে বলা হয়।

তবে কিডনি রোগের কারণ যদি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে বাড়তি কিছু সতর্কতা অবলম্বণ করতে হতে পারে। এজন্য চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.