কিউবার প্রেসিডেন্টের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ-কানেলের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার মার্কিন গণমাধ্যম এপি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন সিনেটর ও পররাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মার্কো রুবিও অভিযোগ করেন, কিউবা সরকার দুর্নীতিতে জড়িত, বিশেষ করে ২০২১ সালের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও হাভানার সংঘর্ষের ঘটনায়।
তিনি লেখেন, কিউবান সরকারের প্রতিবাদকারীদের উপর নির্মম দমন-পীড়নের চার বছর পূর্তিতে, যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তর কিউবান শাসকদের ও তাদের সহযোগীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি ও তাদের জীবিত থাকার প্রমাণ দাবি করছে।
কিউবান কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে কিউবার অর্থনৈতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের অস্থিরতা উসকে দেয়, যাতে সরকার পতনের পরিবেশ তৈরি হয়।
এর আগে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র তিনজন কিউবান বিচারক ও এক প্রসিকিউটরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, যাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী ও অধিকারকর্মী লুইস রোবলেসকে কারাদণ্ডে ভূমিকা রাখার অভিযোগ রয়েছে। ২০২৫ সালে প্রায় পাঁচ বছর কারাভোগের পর রোবলেস মুক্তি পান।
১৯৬০-এর দশক থেকে কিউবা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-ওবামা প্রশাসনের কিউবার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা উল্টে দেন এবং চলতি বছর কিউবাকে আবারও সন্ত্রাসে মদদদাতা রাষ্ট্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন।
কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের ‘সাম্রাজ্যবাদী ও হস্তক্ষেপমূলক’ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অঙ্গীকার করেছে।
রাশিয়া ও চীন যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছে। মে মাসে কিউবার রাষ্ট্রীয় পত্রিকা গ্রানমা-তে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ কিউবার বিরুদ্ধে দেওয়া ‘অবৈধ’ অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
সূত্র : এপি

Comments are closed.