কারো মারা যাওয়া, কারো লক্ষণ প্রকাশিত না হবার নেপথ্যে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে কমবয়সী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যবানরাও। তবে বয়স্ক এবং বেশ কিছু রোগে আগে থেকেই ভুগতে থাকা ব্যক্তিদের মৃত্যুর হার বেশি।
তবে বিশেষজ্ঞরা করোনা আক্রান্তদের ওপর নজর রেখে দেখেছেন, সব বয়সী বহু মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আবার অনেকে আক্রান্ত হলেও কোনো লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না।
চীনের গবেষকরা বলছেন, জিনগত কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেই অনেকের ক্ষেত্রে তা প্রকাশ পাচ্ছে। আবার সবল জিনের কারণে আক্রান্ত হলেও করোনাভাইরাসকে শক্ত অবস্থান নিতে দিচ্ছে না কিছু মানুষের ইমিউন সিস্টেম। রক্তের গ্রুপের কারণেও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
তবে কী ধরনের জিনগত বৈশিষ্ট্য থাকলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে এবং কোন ধরনের জিনে এটার হার কম, তা এখনো স্পষ্টভাবে জানাননি গবেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের রকফেলর ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, জেনেটিক পার্থক্যগুলোর কারণে করোনা আক্রান্ত হলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়া কিংবা লক্ষণ প্রকাশ না পাওয়ার ঘটনা ঘটছে। বলা চলে করোনার ক্ষেত্রে বংশগত ব্যাপার মূল বিষয় হতে পারে। যাদের বংশীয়ভাবে তীব্র নিউমোনিয়ার সংবেদনশীলতা আছে, তাদের শরীরে দ্রুত সংক্রমণ ঘটাতে পারে করোনাভাইরাস।
গবেষকরা আরো খতিয়ে দেখছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে অনেকের মধ্যে কেবল কাশির লক্ষণ কেন দেখা দিচ্ছে সে ব্যাপারে।