কারাবাখে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি
বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে লাগা সংঘর্ষ রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দুবার যুদ্ধবিরতিতে গিয়ে ভেস্তে যায়।
এবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় নতুন করে যুদ্ধে বিরতি দিতে সম্মত হয়েছে দেশ দুটি। খবর বিবিসির।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মানবিক’ কারণে দেশ দুটি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অনেক আলোচনার পর এ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে উভয় দেশ। স্থানীয় সময় সোমবার থেকেই এটি কার্যকর হচ্ছে।
পরে আজারবাইজান, আর্মেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মানবিক যুদ্ধবিরতি’ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে কার্যকর করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান, আর্মেনিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহরাব এমনাসাকানয়ান ও আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেইহুন বেইরামভের মধ্যে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা আসে।
এর আগে ওয়াশিংটনে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে আলোচনায় বসে যুদ্ধে বিবদমান দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, অভিনন্দন আর্মেনিয়ান প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান ও আজারবাইজানি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, যারামাত্রই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেন। ফলে অনেক জীবন রক্ষা পাবে।
কারাবাখের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে যুদ্ধে লিপ্ত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দুই দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। চার সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে উভয়পক্ষের ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষতির খবর এসেছে।
চলতি মাসের শুরুতে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও পরক্ষণেই তা অমান্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে উভয়পক্ষ।
অঞ্চলটি নিয়ে ৯০-এর দশক থেকে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া বেশ কয়েকবার যুদ্ধে জড়ালে সেখানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তুমুল যুদ্ধের পর ১৯৯৪ সাল যুদ্ধবিরতিতে ছিল দেশ দুটি।