কারখানার ছাদে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো যেতে পারে
শিল্পকারখানার অব্যবহৃত ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতে পারে। ভূমিতে একটি সোলার বা সৌর প্যানেল বসাতে তিন থেকে সাড়ে তিন একর জমি লাগে। এ কারণে রুফটপ বিশেষত শিল্পকারখানার ছাদই হতে পারে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের ভালো বিকল্প। কেননা এর জন্য অতিরিক্ত কোনো জমিরও দরকার নেই। ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) বেশ কিছুদিন ধরে রুফটপ সোলার প্রযুক্তি উৎসাহিত করার জন্য শিল্পোদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছে।
গত সপ্তাহে ব্যবসায়ীদের অন্যতম সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকা (এমসিসিআই) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য ইডকল এক কর্মশালার আয়োজন করে। রাজধানীর কনকর্ড পুলিশ প্লাজায় এমসিসিআইর গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তারা শিল্পকারখানার অব্যবহূত ছাদে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনার দিকে গুরুত্বারোপ করেন।
বক্তারা বলেন, গ্রিডের তুলনায় সোলার রুফটপের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় কম। বিদ্যুতের মূল্য ভবিষ্যতে বাড়তে পারে বিবেচনায় এভাবে উৎপাদিত বিদ্যুৎ অর্থনৈতিকভাবে আরও সাশ্রয়ী হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, রুফটপ সোলার প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত জমির প্রয়োজন হয় না। শিল্পকারখানার অব্যবহৃত জমি ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ইডকল স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বলেন, কপ-২৬-এ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত মেটানো হবে। এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে রুফটপ সোলার। শুধু শিল্পকারখানার ছাদ ব্যবহার করে কয়েক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
ইডকলের নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর মোর্শেদ বলেন, রুফটপ সোলার উৎস থেকে বাংলাদেশের চার হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। ইডকল ২০২৫ সাল নাগাদ ৩০০ মেগাওয়াট রুফটপ সোলার প্রকল্পে অর্থায়ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমসিসিআইর ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ এন করিম।